লোকসভা নির্বাচন শেষ। বাম-কংগ্রেস জোট এবং বিজেপিকে পেছনে ফেলে তৃণমূল কংগ্রেস ২৯ টি আসন জিতেছে। সিপিআই(এম) সারা বাংলায় একটি আসনও পায়নি। কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন। আর বিজেপির আসন কমেছে ১২ । এই পরিবেশে বাংলার অনেক জায়গায় নির্বাচনের পর সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। তাই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। এখন গ্রীষ্মের ছুটি শেষ এবং স্কুল-কলেজ খোলার সময়। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে একটি স্কুল খোলা এবং পড়াশোনা শুরু করা বেশ চাপের। এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আজ অর্থাৎ শুক্রবার, কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে এই মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিকল্প জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে তারা স্কুল-কলেজে রয়েছে। এই অপসারণের কাজ হলেই গ্রীষ্মের ছুটির পর স্কুল-কলেজ খোলা সম্ভব হবে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে। এদিন বিচারপতিরা বলেছিলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এ অবস্থা শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। যা সংবিধানের 21A অনুচ্ছেদে রয়েছে। যেখানে বাধ্যতামূলক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে মাত্র ১ টি আসন ছেড়ে বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা বামেদের
এদিকে লোকসভা নির্বাচন শেষ। ফলাফল এসেছে। বাংলায় এখনও কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনী রয়েছে। এই কেন্দ্রীয় বাহিনীদের থাকার জন্য স্কুল-কলেজ খোলা যাবে না বলে অভিযোগ। এভাবে চলতে থাকলে পাঠ্যক্রম সম্পন্ন হবে না বলে মনে করেন বিপুল সংখ্যক অভিভাবক। পুরো বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকরাও চিন্তিত। কারণ গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হতে চলেছে। তবে স্কুল-কলেজ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরানো হয়নি। তবে কলকাতা হাইকোর্টের আজকের এই আদেশের প্রশংসা করেছেন সকলেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিকল্প জায়গায় নিয়ে গেলে স্কুল খুলতে কোনও সমস্যা হবে না।
অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচন শেষ হলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় থাকবে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে থাকবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় যাবে? এই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য সরকার। ভোটের সময় রাজ্যের স্কুল বন্ধ ছিল। তাই কোন সমস্যা নেই। এখন ভোট শেষ। গ্রীষ্মের ছুটির পর স্কুলও খুলেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতির কারণে রাজ্যে অনেক স্কুল খুলতে পারেনি বলে অভিযোগ। ফলে স্কুল শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে সরব হয়েছে নবান্ন। আর এখন বিচারপতিরা বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজতে হবে। স্কুল বন্ধ করা সম্ভব নয়।’