Table of Contents
সকাল হল দিনের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং সতেজ সময়। এই সময়ে খালি পেটে হাঁটলে শরীর এবং মনও সতেজ বোধ করে। সকালের হাঁটা বিপাককে ত্বরান্বিত করে, যার ফলে চর্বি পোড়া দ্রুত হয় এবং শরীর হালকা বোধ করে। তাজা বাতাস ফুসফুসে প্রচুর অক্সিজেন সরবরাহ করে, যার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ হয় এবং মন সারা দিন সক্রিয় থাকে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হাঁটার উপকারিতা
যখন আপনি সকালে খালি পেটে হাঁটতে যান, তখন রাতভর উপবাসের পর শরীর দ্রুত সক্রিয় হয়ে ওঠে। অতএব, বিপাক তাৎক্ষণিক ভাবে কাজ শুরু করে এবং শরীর সহজেই শক্তি উৎপাদন করে। এটি হজমের উন্নতি করে এবং গ্যাস এবং ভারী হওয়ার মতো সমস্যা হ্রাস করে। তাজা বাতাস ফুসফুসকে শক্তিশালী করে এবং শরীর দ্রুত বিষমুক্ত হয়। হাঁটার পর, মনও হালকা বোধ করে এবং দিনটি ইতিবাচকভাবে শুরু হয়।
সকালে খালি পেটে হাঁটলে কোন রোগগুলো ভালো হয়?
সকালের হাঁটা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওজন কমানোর পাশাপাশি, এটি পেটের চর্বিও কমায়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং মানসিক চাপ ও উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেয়। সকালের হাঁটা হজমশক্তি উন্নত করে, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফাঁপা হওয়ার মতো সাধারণ সমস্যা দূর হয়।
আরও পড়ুন : চুল পড়া বন্ধ করুন এবং মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করুন… প্রতিদিন এই জাদুর জুস পান করলে।
কেন এটি শুধুমাত্র সকালে উপকারী?
সকালের হাঁটা উপকারী কারণ এই সময় বাতাসে ধুলোবালি এবং দূষণ কম থাকে। দ্রুত হাঁটা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং হৃদয়কে শক্তিশালী করে। সকালের হালকা রোদ ভিটামিন D প্রদান করে, যা হাড় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অপরিহার্য। সকালের হাঁটা মনকে শান্ত করে এবং চাপ কমায়, ফলে আপনি সারা দিন ভালো মেজাজে থাকেন এবং কম ক্লান্ত বোধ করেন।
সকালে কতক্ষণ হাঁটা উচিত
যদি আপনি হাঁটা শুরু করেন, তাহলে প্রথমে ১০ মিনিট হাঁটুন, তারপর কয়েকদিন পর ২৫-৩০ মিনিট পর্যন্ত বাড়ান। দ্রুত হাঁটা বেশি কার্যকর, তবে প্রয়োজনে ধীরে ধীরে একটু হাঁটার মাধ্যমে বিরতি নিতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটি নিয়মিত করা। নিয়মিত সকালের হাঁটা অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো ফলাফল দেয়।
