ওয়েব ডেস্ক: সম্প্রতি ২ কেন্দ্রে নির্বাচন ও ভবানীপূর কেন্দ্রে উপনির্বাচন হল। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন। তাকে সৌজন্য ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য কংগ্রেসের তরফে সেখানে কোন প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু প্রতিনিয়ত কংগ্রেসকে হেয় প্রতিপন্ন করে বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূল অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে বলে দাবি করে তৃনমূল। এমনকি রাহুল গান্ধীকেও আক্রমণ করতেও ছাড়ছে না তারা।
এহেন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস আবার বামেদের কাছে টেনে সম্পর্ক মেরামতে চেষ্টা করছে। তৃণমূল সম্পর্কে মত বদলেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তাই আর নরম নয়, এবার থেকে তৃণমূলের প্রতি কঠোর মনোভাবই দেখাবে দল। দিল্লি থেকে এমনই বার্তা পৌঁছেছে বিধানভবনে।
আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনে বামেদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল কংগ্রেস। শান্তিপুর কেন্দ্রে শুধু কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। বাকি তিন কেন্দ্রে বামেদের সহযোগিতারই বার্তা দিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। বামেদের সঙ্গে জোট অক্ষুণ্ণ রাখতে আগ্রহী অধীর চৌধুরীর দল।
শান্তিপুর কেন্দ্রে তৃনমূল, বাম, বিজেপি এর সাথে প্রার্থী দিলো কংগ্রেসও
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্যের পর সিপিএম জোট নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। ইয়েচুরি বলেছিলেন ভোট শেষ জোট শেষ। তারপর ভবানীপুর আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। মুর্শিদাবাদের দুটি কেন্দ্রেও বাম-কংগ্রেস সমন্বয় দেখা যায়নি। আর আসন্ন চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা করে জোট সম্ভাবন্যা নস্যাৎ করে দেয় বামেরা।
তাই জোটের বার্তা দিতে কংগ্রেস শুধু শান্তিপুর আসন বাদে সব বাকি তিন কেন্দ্রে প্রার্থী না দিয়ে বামেদের সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। এমনকি ডাক পেলে প্রচারে যাওয়ার বার্তাও দিয়েছে। ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোট হওয়ার পর থেকে কংগ্রেস এই আসনে প্রার্থী দিয়ে আসছে। সেই সূত্র মেনেই এবারেও কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। ফলে শান্তিপুরে লড়াই হবে চতুর্মুখী।
বনগাঁয় বিজেপিতে ভাঙন, ২ পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ১২০০ কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে চলছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই তারা কংগ্রেসের ক্ষতি করে চলেছে। বিজেপি বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নাম করে কংগ্রেসকে ভেঙে চলেছে। বিজেপি চায় কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়তে। নিজেরা তা পারেনি। এখন তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টিকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসের ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করছে বিজেপি। তার আরও বক্তব্য, বিজেপি বিরোধী ঐক্য কংগ্রেস কে বাদ রেখে কখন সম্ভব নয়।