ওয়েব ডেস্ক: ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে বামেদের ভরাডুবি হয়েছে জোটের ভুলত্রুটির কারণে। প্রথম দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এভাবেই বঙ্গ CPIM কে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল। ভিন্ন রাজ্যের নেতারা এই ভাবে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে নানান প্রশ্ন তুললেও দিনের শেষ বঙ্গ CPIM এর পাসেই দাঁড়ালো সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটির মতে, বাংলাই কংগ্রেস এবং আইএসএফ এর সঙ্গে জোটে বিজেপি ও তৃণমূলের মোকাবিলায় একটি নির্বাচনী সমঝোতা মাত্র। কোন পাকাপাকি ফ্রন্ট নয়। সুতরাং সংযুক্ত মোর্চাকে রাজনৈতিক ফ্রন্ট বলে ধারে নিয়ে ‘বিভ্রান্ত’ হওয়ার কিছু নাই।
কেন একুশের নির্বাচনে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসকে এক করে দেখা হয়েছিল? তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তখন বঙ্গ CPIM নেতারা ব্যাখ্যা দেন, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় বিজেপির বাড়বাড়ন্তের কথা। বিধায়ক সংখ্যা ৩ থেকে ৭৭ এ পৌঁছেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপিকে এক আসনে বসানো হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের মতে, মোর্চা হয়তো উপনির্বাচন বা পুরসভার নির্বাচনে থাকবে। বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে সিপিআইএমকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। রাজ্য কেন্দ্রিক লড়াই স্থির হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আর প্রেক্ষিত অনুসারে।’ ফলে মোটামুটি একলা চলার পথ তৈরির ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কংগ্রেসের সাথে জোটই বাংলাই ভরাডুবির কারণ! কারাটপন্থীদের নিশানায় এবার বঙ্গ CPIM
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে বিধানসভা ভোটের পরে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করেনি তৎকালীন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে এ বারের কেন্দ্রীয় কমিটির পর্যালোচনা রিপোর্টে রাজ্যের পদক্ষেপের পক্ষে সায় সেই দিক থেকে বঙ্গ সিপিএমের কাছে স্বস্তি-জনক। কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে শুক্রবারই বাংলায় নির্বাচনী রণকৌশলের প্রশ্নে তর্ক-যুদ্ধ বেধেছিল। সেই আলোচনার শেষ পর্বে শনিবার বাংলার আরও দুই নেতা যুক্তি দিয়েছেন, কেন তাঁরা এখানে কংগ্রেস এবং আইএসএফ-কে সঙ্গে নিয়ে ভোটে লড়েছিলেন। মৌলবাদী বা সাম্প্রদায়িক কোনও বক্তব্য যে সংযুক্ত মোর্চার প্রচারে ছিল না, তা-ও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তাঁরা। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী পর্যালোচনার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটি যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, সেখানে বাংলার পরিস্থিতির ‘বাস্তবতা’ই তুলে ধরা হয়েছে। এবং তা গৃহীতও হয়েছে।
এই জিনিসগুলি না থাকলে পাওয়া যাবে না ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা,নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন
এরই পাশাপাশি, সর্ব ভারতীও ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে সব বিরোধী দল কে ঐক্যবদ্ধ করে লড়াই আরও মজবুত করার কথা হয়েছে এ দিন। বৈঠকের তৃতীয় দিন, রবিবার পার্টি কংগ্রেসের দিনক্ষণ, স্থান নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।