ওয়েব ডেস্ক: শনিবার ফের ত্রিপুরায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত ও দেবাংশু ভট্টাচার্য। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাচ। ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করে টুইট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন,’ত্রিপুরায় বিজেপির গুণ্ডারা প্রকৃত রং দেখিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের উপরে বর্বরোচিত হামলা ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের গুন্ডারাজ প্রকাশ করে দিল। আপনাদের হুমকি ও আক্রমণ অমানবিকতার প্রমাণ। যা পারেন করুন। তৃণমূল এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না।’
এবার এই আক্রমণের ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে তীব্র সমালোচনা করল ত্রিপুরা সিপিএম। ত্রিপুরা সিপিএমের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমবাসা ও ধর্মনগর শহরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মী ও অফিসের উপর রাজ্যের শাসক দল বিজেপির দুর্বৃত্ত বাহিনীর ফ্যাসিস্ট সুলভ আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছে সিপিএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। বিজেপি রাজত্বে ভারতের সংবিধানে প্রদত্ত মতপ্রকাশের, সংগঠন করার অধিকার ও আইন-গণতন্ত্রের কোনও অস্তিত্ব নেই। তা সমগ্র দেশবাসীর সামনে আবারও উন্মোচিত করেছে।’
অবশেষে বাংলায় জোটের পক্ষেই সায় দিলো CPIM কেন্দ্রীয় কমিটি
যদিও এদিনের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তারা দাবি করেছে তৃণমূলই অশান্তি ছড়াচ্ছে ত্রিপুরায়। এ রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার তৃণমূল ‘নাটক’ করছে বলে কটাক্ষ করেছেন। এদিকে শনিবার রাতে আগরতলা ফেরার পথে ফের তৃণমূলের তিন যুব-ছাত্র নেতা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল খোয়াই। সেখানে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে বাঁশ, ইঁট ও পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
অটুট থাকছে মোর্চা, ‘অভিমানী’ নওশাদ কে আশ্বাস দিলেন বিমান
উল্লেখ্য, এদিনের ঘটনায় ত্রিপুরার সিপিএম যখন সে রাজ্যে তাঁদের সম্ভাব্য রাজনৈতিক নয়া প্রতিদ্বন্দ্বীর ওপর হামলার ঘটনায় শাসক দলকে নিশানা করেছে, তখন এ রাজ্যের সিপিএমের ভূমিকা কিছুটা অন্যরকম। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, “যে কোনও মানুষের রাজনীতি করার অধিকার আছে। তাঁরা রাজনীতি করতে গেলেই বিরোধী পক্ষ বলে আক্রমণ করতে হবে! আপাতত পছন্দ হচ্ছে না, পরে তো পছন্দ হতে পারে।” এর পরেই তাঁর টিপ্পনী, “তৃণমূল বিজেপির কাছে শিক্ষা নিচ্ছে, নাকি বিজেপি তৃণমূলের কাছে শিক্ষা নিচ্ছে?” তিনি আরও যোগ করেন, এ রাজ্যে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর হিম্মত সবার হয় না। বাংলায় তৃণমূল হোক বা উত্তর প্রদেশে বিজেপি, সবসময়ই আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে তাঁরা বলে মন্তব্য করেন সুজনবাবু।