তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের নৈকট্য বাড়ার প্রভাব কি আদেও বাংলাই CPIM-Congress জোটে পরবে!

by Chhanda Basak

ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত চরম হলেও দিল্লিতে ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে তাদের নৈকট্য। কারণ দুই দলের দুই প্রধান নেতা রাহুল গান্ধি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পেগাসাসের প্রধান টার্গেট। একই সাথে দুই দল একসাথে সংসদে পেগাসাস (Pegasus) ইস্যু নিয়ে সুর চড়িয়েছে। আর ততই বাড়ছে CPIM এর বিড়ম্বনাও! আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে, বিজেপি বিরোধিতাই দলের অবস্থানে কোনও দুর্বলতার বার্তা যাতে না যায়। পাশাপাশি আবার বিজেপিকে রোখার নামে যেন তৃণমূলের দোসর না হইয়ে উঠতে হয়ে সেই বার্তাও তাদের দিতে হচ্ছে।

তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের নৈকট্য বাড়ার প্রভাব কি আদেও বাংলাই cpim-congress জোটে পরবে!

কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস, দুই দল যে কাছাকাছি আসছে তার আভাস প্রথম পাওয়া গেল ২১ জুলাই। সেদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছিলেন দিল্লিতে বসে তা শুনেছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম, দিগ্বিজায় সিংহরা । মমতা তাঁদের নাম করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেই একুশের বক্তব্য শুরু করেন এবং ফ্রন্ট গড়ার ডাক দেন।

সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেই কংগ্রেসের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কারণ তিনি বিশ্বাস করেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হঠাতে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট করা অসম্ভব। কারণ গোটা দেশেই কংগ্রেসের একটি বড় সমর্থক বলয় রয়েছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, তাঁর এই বার্তা নিয়েই প্রশান্ত কিশোর দিল্লি গিয়ে বৈঠক করেছেন গান্ধি পরিবারের সঙ্গে।

এবার রাজ্যে ভুয়ো ভাগ্নে! নিজেকে রাজ্যের মন্ত্রীর ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে সরকারি অফিসে স্বেচ্ছাচার

রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারে বিজেপি-বিরোধিতায় তাদের ঘাটতি ছিল, সেই ‘ভুল’ নির্বাচনী পর্যালোচনায় স্বীকার করে নিয়েছে CPIM। কিন্তু বাম মহলের একাংশের সমালোচনার মুখেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে লড়াইয়ের সিদ্ধান্তের পক্ষেই সওয়াল করে এসেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। প্রথমে এআইসিসি এবং তার সুর ধরে প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও তৃণমূলের সঙ্গে নৈকট্যের ইঙ্গিত দিতে শুরু করায় দলের অভ্যন্তরে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা। ঠিক হয়েছে, আপাতত বামফ্রন্ট ও বৃহত্তর বাম ঐক্যের মঞ্চ থেকেই আন্দোলনের পথে এগোনো হবে। তার পরে জোট নিয়ে কংগ্রেস কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে তখন রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল-বিরোধী পরিসর দখলের লক্ষ্যে চিরাচরিত বাম ঐক্য নিয়েই লড়াই হবে।

সংসদে তৃণমূল সাংসদ শান্তনুর জন্য ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন CPIM সাংসদ বিকাশরঞ্জ!

দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রীতি-মতো লড়াই করে ২০১৬ সালে তাঁরা রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন। কিছু জেলা নেতৃত্বের গোড়া থেকেই কংগ্রেস-প্রশ্নে আপত্তি ছিল। দলের সেই অংশ এবং ফ্রন্ট শরিকদের একাংশ বিধানসভা ভোটের পরে আবার সূর্য-বাবুদের জোট-সিদ্ধান্তকে ফের নিশানা করছে।

এই পরিস্থিতিতে CPIM এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘দেশে বিজেপিকে রোখার লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে কোনও শিথিলতা চাই না। কিন্তু রাজ্যে তৃণমূলের বিরোধিতা থেমে যেতে পারে না। আগ বাড়িয়ে আমরা কোনও জোট ভাঙব না। তবে তেমন কিছু ঘটলে আমাদের ‘প্ল্যান বি’ ভেবে রাখতেই হবে।’’

ডোমের চাকরির জন্য এবার আবেদন জমা দিলেন স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ইঞ্জিনিয়াররা

সামনের সপ্তাহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোনিয়া গান্ধির সাক্ষাৎ পর্ব সম্পন্ন হতে চলেছে। মমতা সোনিয়ার হৃদ্যতা অনেকদিনের। এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ ২০২৪। মোদী সরকারকে উপড়ে ফেলার লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরনো তিক্ততা ঝেড়ে ফেলতে চান বলেই খবর। এখন এর প্রভাব বাংলার জোটে পরে কিনা সেটাই এখন দেখার।

Copyright © 2025 NEWS24-BENGALI.COM | All Rights Reserved.

google-news