ওয়েব ডেস্ক: পেগাসাস ইস্যুতে এইবারের বাদল অধিবেশন যে উত্তাল হবে তা আগেই জানা ছিল। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিবৃতি-পত্র ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেওয়ার ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু। এই ঘটনাই শুধু তৃণমূলই নয়, কংগ্রেস, ডিএমকে-সহ আরও অনেক বিরোধী দলই এখন তৃণমূলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে CPIM-ও।
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছেন সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, অন্য দলের সাংসদদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে ওয়েলে নেমে নিন্দা করেছেন তিনিও। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম এবং তৃণমূলের সম্পর্ক যে জায়গায় তাতে সংসদে দুই দলের সম্পর্ক এতদিন ছিল সাপে-নেউলে। এখনও যে সেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে তা হলফ করে বলা যাবে না।
ডোমের চাকরির জন্য এবার আবেদন জমা দিলেন স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ইঞ্জিনিয়াররা
এদিন রাজ্যসভায় CPIM এর সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে সরব হতে দেখে এবং নিন্দায় ওয়েলে নামতে দেখে নজিরবিহীন ঘটনা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃনমূলের প্রবীণ সাংসদের কথায়, “শান্তনু সেনের প্রতি অন্যায় হতে দেখে সরব হয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এই ঘটনায় আমরা কিছুটা অবাক হলেও আশ্বস্ত হয়েছি। মনে হয়েছে বিলম্বিত বোধোদয় হয়েছে সিপিএমের।”
অসমে প্রায় তৈরি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প! রাখা যাবে প্রায় ৩০০০ বন্দি
অন্যদিকে, রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় খুব শীঘ্রই ‘প্রসিকিউশন উইটনেস’ জমা দেবে তৃণমূল। যা হবে আসলে সেদিনের ঘটনায় মন্ত্রীর হাত থেকে বিবৃতি-পত্র ছিঁড়ে দেওয়ার সময় যা ঘটেছিল সেই সময় অন্যান্য দলের রাজনৈতিক নেতারা, যারা দেখেছেন, তাদের সাক্ষ্য। তৃণমূল মনে করছে এই পদ্ধতিতে এগোলে সংসদে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে রাখা সম্ভব হবে।