ওয়েব ডেস্ক: গত বছরের মতো এ বছরও দুর্গাপুজো এবং কালীপূজোর মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন না কোনও দর্শনার্থী। মণ্ডপের বাইরে থেকেই তাঁদের প্রতিমা দর্শন করতে হবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারের তরফেও জানানো হয়েছে, গত বছরের মতো এবারও মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলে কোনও আপত্তি নেই।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অবশ্য গতবারের মতো এবারও মণ্ডপের মধ্যে সীমিত সংখ্যক উদ্যোক্তাদের প্রবেশের অনুমতি থাকছে। এছাড়া বড় পুজো মণ্ডপগুলির মধ্যে সর্বাধিক ২৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে আদালত। ছোট পুজো মণ্ডপগুলির অবশ্য সেই সংখ্যাটা কমে হবে ১২। পুজোর আগেই প্রতিটি কমিটিকে সেই অনুযায়ী একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। যারা মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করবেন, তাঁদের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি মেনে চলতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড করে দিতে হবে। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে পাঁচ মিটার দূরে ব্যারিকেড করতে হবে। আর বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সেই ব্যারিকেডের দূরত্ব হতে হবে ১০ মিটার। অঞ্জলি ও সিঁদুর খেলার উপরও গত বছরের মতোই নিষেধাজ্ঞা বজায় রইল এবারও।
ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার কে ছাড়পত্র দিল নির্বাচন কমিশন
সাথে সাথে উৎসবের কথা মাথায় রেখে ১০ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত নৈশ কার্ফু শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। শনিবার সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আশ্বস্ত করেন,”মহালয়া আসছে। দুর্যোগ, দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিন মা। পুজোর দিনগুলিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে সুতরাং চিন্তার কোনও কারণ নেই।”
ইঁদুরের বিষ্ঠা ও পোড়া মোবিল মেশানো ভেজাল কালোজিরে কলকাতার বাজারে, বড়বাজার থেকে গ্রেফতার ৩
পুজোর দিনগুলিতে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশ কার্ফুতে ছাড় দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। ফলে রাতে ঠাকুর দেখা সারতে পারবেন পুজোপ্রেমীরা। তাঁর কথায়,”১০ তারিখ থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাতেও আপনারা মণ্ডপে ঘুরতে পারেন। আদালতের বিধিনিষেধ ও কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। মণ্ডপের ভিতরে গেলেন না! কাছাকাছি গিয়ে তো দেখতেই পারেন। আর ভিতরে শুধু আয়োজকরা থাকেন।” স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।