ওয়েব ডেস্ক: ভবানীপুরে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভেঙে দিলেন ২০১১ সালের ভোটের ব্যবধানের রেকর্ড। ৫৮,৮১২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী তৃণমূল নেত্রী। ৫৮৮৩২ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল নেত্রী। ২১ রাউন্ড গণনা শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পান ৮৪৭০৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পান ২৬৩২০ ভোট। বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পান মাত্র ৪২০১ ভোট। ২০১১ সালের থেকেও এবার বড় ব্যবধানে জিতলেন মমতা।
পাশাপাশি জঙ্গিপুর-সামশেরগঞ্জেও জয় পেলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। জঙ্গিপুরে রেকর্ড মার্জিনে জয় পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হুসেন। তাঁর জয়ের ব্যবধান ৯২ হাজার ৬১৩। সামশেরগঞ্জে ২৬ হাজারের বেশি ভোট জয় পেয়েছেন জোড়া-ফুল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম।
বেলদায় পঞ্চায়েত সদস্যার দলবদলের পর পঞ্চায়েত দখলের পথে TMC
উল্লেখযোগ্য ভবানীপুর কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে সবকটিতেই জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এতেই উচ্ছ্বসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ভোটে জয়ের পর তিনি বলেন, ‘ভবানীপুরের সব ভোটারদের ধন্যবাদ। প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছি। সব ভাষাভাষীর মানুষের ভোট পেয়েছি। এটা চ্যালেঞ্জ ছিল। কোনও ওয়ার্ড আমাদের হারায়নি। ভবানীপুরের ৪৬ শতাংশ ভোটার অবাঙালি। সবাই এবার আমাদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অতীতে এরকম হয়নি। ২০১১ হোক বা ২০১৬, ২০১৯-য়েও আমরা এখানকার সব ওয়ার্ড জিতিনি। কিন্তু এবার জিতলাম।’
এবারেও পুজো মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’, আরও কি কি বিধি নিষেধ মানতে হবে যেন নিন
নির্বাচনী রাজনীতিতে এটা মমতার দশম জয়। আর ভবানীপুর থেকে এই নিয়ে তিনবার জিতলেন মমতা। প্রেস্টিজ ফাইটে পরাজয়ের পর অবশ্য দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা মেনে নিয়েছেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তবে, ছাপ্পা ভোটেই তৃণমূলের এই জয় বলে দাবি করেছেন তিনি।