ওয়েব ডেস্ক: ২০২০ সাল থেকে চলা করোনাভাইরাসের জন্য পুজো কমিটিগুলি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তাই তাদের আর্থিক দুরবস্থার কথা ভেবে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। এবারও একই পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী। তাই এতে প্রভাব পড়তে পারে ভেবে অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচন মিটে যেতেই রাজ্যকে এই অর্থ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিরোধীদের দাবিতে ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্যের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তা আটকে গিয়েছিল। গণনা হয়ে ফল বেরোনোর আগেই একধাপ জয় পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই আগে ঠিক একই গেরোয় আটকে গিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা টাকা পাঠানো। তবে সেটা সব জেলার ক্ষেত্রে নয়। যে চার জেলাতে ভোট বাকি যেমন, কোচবিহার, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। উপনির্বাচন মিটে গেলে ওই চার জেলার আবেদনকারীরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন। এখানে আগামী ৩০ অক্টোবর খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটা এবং শান্তিপুরে উপনির্বাচন হবে। তাই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর্থিক অনুদান বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগে দেশের শীর্ষে সেই বাংলা
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে, ১০–২০ অক্টোবর পুজোর সময় যেন উপনির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার কর্মসূচি বন্ধ রাখে। তবে পুজো কমিটিগুলি টাকা পাচ্ছে জানতে পেরে এখন সর্বত্র উৎসবের মেজাজ। করোনা–বিধি মেনে রাস্তায় নামা যাবে। থাকছে না নাইট কার্ফু। তবে পুজোমণ্ডপে প্রবেশ করা যাবে না।
