আগে চা বিক্রি করতেন, এখন সিঁদুর বিক্রি করছে’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেনজির ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করেন, ‘যদি সাহস থাকে, তাহলে আগামীকাল ভোট হোক। আমরা আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের নামকরণ করা হয়েছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আমি এখনই কোনও মন্তব্য করব না। আমাদের বিরোধী দল ও বিজেপির সমস্ত প্রতিনিধিরা দেশে বিদেশে সন্ত্রাস বাদের বিরুদ্ধে চিৎকার করছেন, এমন সময়ে যখন একজন প্রধানমন্ত্রী রাজনীতির রঙে প্রচারণা চালাতে এসেছেন। এটি ভালো দেখাচ্ছে না।’ তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের প্রতিনিধি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলে আছেন। তিনি প্রতিদিন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গলা ছড়াচ্ছে। সেই সময় মোদীজি সরকারের সমালোচনা করছেন, যারা আপনাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছে। বিরোধীদের আক্রমণ করার সময় কি?’
মোদী কটাক্ষ করে বলেন, ‘একসময়ে নিজেকে চাওয়ালা বলে ঘুরে বেড়াতেন। দ্বিতীয়বার বললেন পাহারাদার। এখন আবার বলছেন, সিঁদুর বেচবেন। সিদুঁর বেচা যায় না, সিদুঁরটা মা-বোনেদের ইজ্জত। বাংলার মা-বোনে যে আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচেন, ইউপিতে হয়? বিহারে হয়? অসমে হয়? গুজরাতে হয়? মধ্যপ্রদেশে হয়? মধ্যপ্রদেশের গাড়ির মধ্যে ব্লু ফিল্ম চলছে। বিজেপি সাংসদ বলেছে, মহিলাদেরই উচিত সন্ত্রাসবাদীর দমন করা, মহিলারা করতে পারেননি। যাঁদের দলের সাংসদকে শাসন করার ক্ষমতা নেই, মহিলাদের অসম্মান করে, তাঁদের দলের নেতা হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উচিত, তাকে বরখাস্ত করা। তারপর কথা বলবেন, মোদীর মুখে এই কথা শোভা পায় না’।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় এসে বলছেন, অপারেশন সিদুঁরের মতো অপারেশন বেঙ্গল করব। তার মানে, জঙ্গিদের সঙ্গে বাংলার মাটিকে মিলিয়ে দিলেন! বাংলার ইজ্জততে মিলিয়ে দিলেন! কি ভাবে! যা খুশি করবে! আমি দেশকে সম্মান করি, কিন্তু আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে নয়’।