ওয়েব ডেস্ক: জল্পনার অবসান। অবশেষে ‘নিজের ঘরে’ ফিরলেন সব্যসাচী দত্ত। বিধানসভা ভোটের কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এদিন বিধানসভায় ঘাসফুল শিবিরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমদের উপস্থিতিতে ‘ঘর ওয়াপসি’ ঘটালেন সব্যসাচী দত্ত। বিধানসভায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে হাতে তুলে নিলেন ঘাসফুল পতাকা। ‘ঘরওয়াপসি’ করে সব্যসাচী বললেন,”দীর্ঘদিন পুরসভার প্রতিনিধি ছিলাম। ভাইস চেয়ারম্যান থেকেছি। মেয়র হয়েছি। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বিধায়ক ছিলাম। সবটাই মমতা দিকে সামনে রেখে পেয়েছি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক হিসেবে শপথের পরই তাঁর সঙ্গে দেখা করে ‘অনুমতি’ নিয়েই সব্যসাচী দত্ত ‘ঘরে ফিরলেন’ বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ফিরহাদ হাকিমরা। তৃণমূলে যোগদান করে সব্যসাচী দত্ত বলেছেন, ‘দলের সঙ্গে মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, যা থেকে আবেগ তাড়িত হয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের আবার আমাকে দলে গ্রহণ করলেন। বাকিরাও সবাই স্বাগত জানালেন। দল যেভাবে বলবে সেভাবেই আগামী দিনে কাজ করব।’ পাশাপাশি দীর্ঘদিন তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ও উল্লেখ করেন তিনি। যে প্রসঙ্গ উঠে আসে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেও।
বনগাঁয় বিজেপিতে ভাঙন, ২ পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ১২০০ কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে
২০১৯ সালে পুজোর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সব্যসাচী। ২ বছর পর ফিরে গেলেন পুরনো দলে। কেন গিয়েছিলেন বিজেপিতে? সব্যসাচীর বক্তব্য,”দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আবেগ তাড়িত হয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। আজ মমতাদি আবার গ্রহণ করলেন। নতুনভাবে পথচলা শুরু করলাম।” বুধবারই বেসুরো সুর শোনা গিয়েছিল সব্যসাচী দত্ত-র গলায়। লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে সব্যসাচী দত্ত বলেছিলেন, ‘কোনও আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়া পদ্ধতি হতে পারে না। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। এ তো তালিবান নয়! লখিমপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, দোষীদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।’ তাঁর যে বক্তব্যের পরই উসকে উঠেছিল দলবদলের সম্ভাবনা।
হালিশহর ও কাঁচড়াপাড়ায় বিজেপি ভেঙ্গে তৃনমূলে যোগ দিনে কয়েকজন কাউন্সিলর এবং কয়েকশো কর্মী
সব্যসাচীকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা সুজিত বসুকে ফোনে জানিয়েছিলেন মমতা। নেত্রীর সিদ্ধান্তের উপরে কথা বাড়াননি সুজিত। তবে এ দিন যোগদান অনুষ্ঠানে থাকেননি তিনি। সূত্রের খবর, সুজিতের সঙ্গে আর এক বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়কেও থাকতে বলেছিলেন মমতা। কিন্তু তাঁরা হাজির হননি।