এই জিনিসগুলি না থাকলে পাওয়া যাবে না ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা,নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন

by Chhanda Basak

ওয়েব ডেস্ক: চলতি মাস থেকেই রাজ্যজুড়ে ফের একবার শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মহিলাদের জন্য “লক্ষ্মীর ভান্ডার” এর মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। রাজ্যের শিশু সুরক্ষা ও পরিবার কল্যাণ দফতর মহিলাদের প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা করে ও এসসি-এসটি দের ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম বিধি তৈরি করেছে শিশু সুরক্ষা ও পরিবার কল্যাণ দফতর। গত ৩০ জুলাই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছিল।

এই জিনিসগুলি না থাকলে পাওয়া যাবে না 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের সুবিধা,নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন

১) স্বাস্থ্য-সাথী স্কিমে যারা ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত রয়েছেন সেই সমস্ত মহিলারাই লক্ষ্মীর ভান্ডার এর সুবিধা পাবেন গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চলে

২) রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে তাঁকে। বয়স ২৫ থেকে ৬০ এর মধ্যে হতে হবে।

৩) সরকারি কর্মচারী বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কেন্দ্রের ও রাজ্যের, কোনও স্বশাসিত সংস্থা, সরকারি নিয়ন্ত্রিত কোনও সংস্থা, পঞ্চায়েত, মিউনিসিপালিটি, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, সরকারি স্কুল গুলির ক্ষেত্রে বা যদি কেউ নিয়মিত বেতন বা পেনশন পান তাঁরা এই সুবিধা পাবেন না।

৪) আর্থিক সুবিধা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক থাকতে হবে।

৫) দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিনামূল্যে এর অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পাওয়া যাবে।

৬) এক্ষেত্রে যদি আবেদনকারীর স্বাস্থ্য-সাথী বা আধার কার্ড না থাকে তাঁকে প্রথমে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ দেওয়া হবে। সঙ্গে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বা আধার কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

৭) দুয়ারে সরকারের মতোই এই ক্ষেত্রেও সরকারি আধিকারিকরা আবেদন গুলোকে যাচাই করবে।

৮) তথ্য যাচাই করার পর গ্রামাঞ্চলে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার এবং শহরাঞ্চলে সাব ডিভিশনাল অফিসাররা আবেদনপত্রগুলি পোর্টালে তুলবে এবং সেক্ষেত্রে যারা যোগ্য বলে বিবেচিত হবে তাদের নাম জেলাশাসকের কাছে পাঠাতে হবে।

সন্তানের পদবি ঠিক করার মালিক বাবা নন, চাইলে মায়ের পদবি নিতে পারে জানালো আদালত

৯) কলকাতার ক্ষেত্রে একইভাবে তা করতে হবে এবং কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কমিশনার এক্ষেত্রে চূড়ান্ত ভাবে জানিয়ে দেবেন।

১০) আবেদনকারীরা এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য কি না তা ঠিক করবে জেলাগুলির ক্ষেত্রে জেলাশাসকরা এবং কলকাতার ক্ষেত্রে কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কমিশনার।

১১) আর্থিক সুবিধা প্রয়োজনে স্থগিত রাখা হতে পারে, বিশেষত তিনি যদি ভুল তথ্য দেন।

কংগ্রেসের সাথে জোটই বাংলাই ভরাডুবির কারণ! কারাটপন্থীদের নিশানায় এবার বঙ্গ CPIM

নবান্ন সূত্রে খবর, শুক্রবার নবান্নে ভিড়িয়ো কনফারেন্সে সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, আগের মতোই সমস্ত প্রকল্প দুয়ারে সরকারে থাকবে। কিন্তু, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেই। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে আসবেন তাঁদের স্বাস্থ্য-সাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্য জাতিভুক্ত হলে সেই জাতির শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। যদি সেই শংসাপত্র কারোর না থাকে, তা তৎক্ষণাৎ তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে নবান্নর পক্ষ থেকে।

google-news
NEWS24-BENGALI.COM

NEWS24-BENGALI.COM brings to provide the latest quality Bengali News(বাংলা খবর, Bangla News) on Crime, Politics, Sports, Business, Health, Tech, and more on Digital Platform.

Copyright © 2024 NEWS24-BENGALI.COM | All Rights Reserved.