ওয়েব ডেস্ক: মায়ের পদবি ব্যবহারের পূর্ণ অধিকার রয়েছে প্রতিটি সন্তানের। বাবা বা মা, সন্তান যার পদবিতে খুশি সেই পদবিই সে ব্যবহার করতে পারে। এতে কোনও আইনি জটিলতা নেই। এই মন্তব্য করে একটি মামলা খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এখন আদালতের এই রায় নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।
নাবালিকা মেয়ের নথিতে বাবার পদবি ব্যবহার হোক। মায়ের নয়। এনিয়ে ‘বিচার’ চাইতে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হন বাবা। তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি রেখা পল্লি। তিনি বলেন,’মেয়েকে তাঁর পদবিই ব্যবহার করতে হবে, তা বলতে পারেন না বাবা। সন্তানের উপরে তাঁর মালিকানা নেই। নাবালিকা কন্যা যদি নিজের পদবি নিয়ে খুশি থাকে আপনার আপত্তি কেন?’ আদালতের পর্যবেক্ষণ,’মায়ের পদবি ব্যবহারের পূর্ণ অধিকার রয়েছে সন্তানের।’
কংগ্রেসের সাথে জোটই বাংলাই ভরাডুবির কারণ! কারাটপন্থীদের নিশানায় এবার বঙ্গ CPIM
বিচারপতি আবেদনকারীকে এদিন প্রশ্ন করেন, মেয়ে মায়ের পদবি ব্যবহার করলে সমস্যা কি? এতে সে আর্থিক অধিকারে বঞ্চিত হবে এই যুক্তি টেকে না। সঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, নাবালিকা মেয়ের পদবি ঠিক করার মালিক বাবা নন। যে পদবি তাঁর ভাল লাগে সেটিই ব্যবহার করবে সে। তবে মেয়ের স্কুলের খাতায় বাবা হিসাবে তাঁর নাম যেন থাকে সেই আবেদন করতে পারবেন তিনি। সঙ্গে আদালতের মন্তব্য, বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় প্রাক্তন স্ত্রীকে হয়রান করতে এই মামলা করেছেন অভিযোগকারী। এই মন্তব্য করে মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি।
যন্তর মন্তরে বিরোধী ঐক্যের ছবি, রাহুলের নেতৃত্বে কিষান সংসদে হাজির বিরোধীরা
শুনানিতে ‘বাবা’র আইনজীবী অনুজকুমার রঞ্জন যুক্তি দেন, শিশুটির পদবি শ্রীবাস্তব থেকে সাক্সেনা করে দিয়েছেন তাঁর মক্কেলের বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রী। কন্যাসন্তান নাবালিকা। সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তিনি দাবি করেন, বিমা সংস্থায় শিশুটির বাবার পদবি দেওয়া হয়েছে। ফলে বিমা সংক্রান্ত দাবিদাওয়া পেতে সমস্যা হবে। সমস্ত যুক্তি খারিজ করে হাইকোর্ট জানায়, বাবার নামের জায়গায় নিজের নাম চাইলে মেয়ের স্কুলে আবেদন করতে পারেন ওই ব্যক্তি।