ওয়েব ডেস্ক: পুজোর আগেই প্রথম পর্যায়ের টাকা ঢোকার সুখবর দিলো রাজ্য। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছেন প্রায় আড়াই কোটি টাকা। সোমবার নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে রাজ্যের জেলাশাসকদের সেই বরাদ্দ পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যারা আবেদন করেছেন, তাঁদের একটি অংশের আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শেষ হয়েছে। এর পরের পর্যায়ে দফায় দফায় আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে টাকা বরাদ্দ করবে রাজ্য সরকার। গত ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল দুয়ারে সরকার প্রকল্প। শেষ হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। সব মিলিয়ে শিবিরে এসেছিলেন ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৯১ জন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন জমা পড়েছে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৬৮টি।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে এসসি, এসটিরা পাবেন এক হাজার টাকা করে এবং সাধারণ মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাবে পাঁচশো টাকা। জোর আগেই যাতে রাজ্যের মহিলারা এই আর্থিক সাহায্য পেয়ে যান, তার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবেদনপত্র জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছিলেন সরকারি কর্মীরা। জমা পড়া আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে যারা যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে, তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে যাবে।
নির্দিষ্ট সূচি মেনেই ভবানীপুরের উপনির্বাচন, কমিশনকে জরিমানা হাইকোর্টের
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে যে ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে বেশি অর্থ যাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। এই জেলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ২৯ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে বরাদ্দের পরিমাণ ২৫ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। পূর্ব মেদিনীপুরে ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার, মুর্শিদাবাদে ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। এছাড়াও প্রতিটি জেলার জন্যই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।