Table of Contents
অনেক মহিলাই গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সাথে লড়াই করেন। তারপর তারা দ্রুত মল সফটনার ওষুধ খায়। এটি কিছু সময়ের জন্য সমস্যার সমাধান করে। তবে অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অতএব, গর্ভাবস্থায় এই ওষুধগুলি নিজে গ্রহণ করবেন না। পরিবর্তে, আপনি কিছু কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকারের উপর নির্ভর করতে পারেন। যার ফলে সহজেই পেট পরিষ্কার হবে। ওষুধ খাওয়ার দরকার হবে না।
আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন কোন ঘরোয়া প্রতিকার উপকারী হবে? উত্তর জানতে এই নিবন্ধটি পড়তে থাকুন…
জল ওষুধ
অনেক মহিলা বিভিন্ন কারণে গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত জল পান করেন না। তারা এই ভুল করে বলে তাদের শরীরের বারোটা বাজতে শুরু করে। এর পর থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সমস্যা থেকে দ্রুত সেরে উঠতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার জল পান করা উচিত। এটি অন্ত্রে উপস্থিত মলকে নরম করবে। ফলে পেট পরিষ্কার করতে আর কষ্ট করতে হবে না।
যাইহোক, যদি একজন মহিলার কিডনি রোগ থাকে তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া তার জল খাওয়া বাড়ানো উচিত নয়। নইলে অনেক কষ্ট পাবেন।
আরও পড়ুন: মহিলাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন কি কি?
মিহি আটা দিয়ে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলুন
মিহি আটা দিয়ে তৈরি খাবার সবচেয়ে ভালো স্বাদের। আর সেই কারণেই অনেক গর্ভবতী মহিলা তৃষ্ণা মেটাতে নিয়মিত মিহি আটা দিয়ে তৈরি খাবার খান। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে ময়দায় গমের ফাইবার অংশ থাকে না। এ কারণে এটি থেকে তৈরি খাবার খেলে অন্ত্রে মল চলাচল কমে যায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আজ থেকেই মিহি আটার তৈরি খাবার থেকে দূরে থাকুন।
খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে শাকসবজি
আজকাল অনেক মহিলাই পর্যাপ্ত সবুজ শাকসবজি খান না। আর এর কারণে তাদের শরীরে ফাইবারের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে অনেক জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন। এমন পরিস্থিতিতে আপনার খাদ্যতালিকায় বেশি করে শাকসবজি রাখুন। প্রতিদিন একটি ফল খেতে ভুলবেন না। আশা করি এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে উপকার পাবেন।
ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ
আপনি কি গর্ভাবস্থায় বিশ্রাম করেন? সারাদিন একদম হাঁটাহাঁটি করেন না? এসব প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে তো মুশকিল! এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। তাই অলস জীবনের ফাঁদ থেকে বের হয়ে একটু সক্রিয় জীবন যাপন করুন। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরি। আর ব্যায়াম করতে না চাইলে এই সময়ে হাঁটতে যান। এতে আপনিও উপকৃত হবেন।
তবে এই সময়ের মধ্যে কোন ব্যায়াম করতে হবে সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নইলে লাভ হবে না, উল্টো ক্ষতি হবে।
আরও পড়ুন: কলা খাওয়া কি লুজ মোশনে সহায়ক? জেনে নিন এর আশ্চর্য গুণাবলী
ওষুধও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে
গর্ভাবস্থায় আপনাকে প্রতিদিন একটি করে বড়ি খেতে হবে। এই ওষুধগুলির যে কোনও সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই উপরে উল্লিখিত নিয়ম মেনেও যদি সমস্যা না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এমতাবস্থায় তিনি ওষুধ পরিবর্তন করে দিতে পারেন। তাহলে দেখবেন প্রতিদিন সকালে আপনার পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।
দাবিত্যাগ: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।