Table of Contents
পুজোয় নতুন পোশাকের সঙ্গে মানানসই নতুন জুতা পরতে হবে। কিন্তু কিছুক্ষণ হাঁটার পর ঠাকুর আলসারে আক্রান্ত দেখে খুবই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফোসকা সাধারণত গোড়ালির পিছনে, পায়ের আঙুলের পাশে বা বুড়ো আঙুলে হয়। একবার ফোস্কা তৈরি হলে পরবর্তী ২-৩ দিন হাঁটা কঠিন হয়ে পড়ে।
কিন্তু কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে পুজোর পাঁচ দিন ফোস্কা ছাড়াই কাটাতে পারেন। তো চলুন, জেনে নেওয়া যাক নতুন জুতোয় ফোস্কা ছাড়া কীভাবে পুজো কাটাবেন।
1) ডিওডোরেন্ট
নতুন জুতা পরার পর সাধারণত গোড়ালি ও পায়ের আঙুলে ফোস্কা পড়ে। তাই জুতা পরার আগে হিল ও পায়ের আঙুলে ডিওডোরেন্ট বা বডি স্প্রে লাগান। এটি আপনার জুতা এবং পায়ের মধ্যে ঘর্ষণ প্রতিরোধ করবে, যা ফোস্কা প্রতিরোধ করবে।
আরও পড়ুন : আঁচিল নিয়ে আর টেনশন নয়, মাত্র দুই সপ্তাহে ঘরোয়া প্রতিকার
2) পেট্রোলিয়াম জেলি
জেলি পায়ে খুব ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও, গোড়ালি এবং পায়ের আঙ্গুলের মতো আলসারযুক্ত জায়গায় পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসলিনের পুরু স্তর লাগানোর পরেই জুতা পরুন।
3) মোজা পরুন
ফোস্কা প্রতিরোধের আরেকটি উপায় হল জুতার সাথে মোজা পরা। জুতার পরে মোটা সিন্থেটিক মোজা পরুন। এতে ত্বকে জুত ঘষা থেকে রক্ষা পাবে এবং ফোস্কা পড়ার ভয় থাকবে না।
4) ব্যান্ড-এইড
পায়ের যেসব অংশে ফোস্কা পড়ার সম্ভাবনা থাকে সেখানে আগে থেকেই ব্যান্ড-এইড প্রয়োগ করা যেতে পারে। উপরন্তু, জুতা ভিতরে এবং সামনে একটি নরম স্পঞ্জ যোগ করা ফোস্কা ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন : আপনার কি প্রতিনিয়ত গ্যাস এবং বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা হয়? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলির উপর নির্ভর করুন
5) বেবি পাউডার
বেবি পাউডারও উপকারী হতে পারে। নতুন জুতার উপর কিছু বেবি পাউডার ছিটিয়ে দিন। এতে জুতার ভেতরটা মসৃণ ও নরম হবে এবং পায়ে ফোসকা পড়ার ভয় থাকবে না।
6) নারকেল তেল
নতুন জুতা পরার আগে পায়ে সরিষার তেল বা নারকেল তেল লাগান। এতে ফোস্কা পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।