Table of Contents
বাটারমিল্কে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। এটি একটি মৃদু, সতেজ এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ পানীয়। বাটারমিল্কে মশলা এবং কালো লবণ যোগ করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়। এই পানীয় পান করলে হজমের যাবতীয় সমস্যা দূরে থাকে। খাওয়ার পর বাটারমিল্ক পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে।
গ্যাস ও অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেবে
বাটারমিল্ক পান করার সর্বোত্তম সময় হল দুপুরের খাবারের সময়। প্রতিদিনের খাবারের সাথে এক গ্লাস তাজা বাটার মিল্ক পান করলে খাবার সঠিকভাবে হজম হয়। এ সময় বাটার মিল্ক পান করলে ফুসফুস, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন : গ্রিন টি কি সত্যিই ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে? চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করলেন বিশেষজ্ঞ
হজমশক্তি উন্নত হবে
খাবারের সাথে ১ গ্লাস বাটারমিল্ক খেলে হজমশক্তি ভালো হয়। খাবার খাওয়ার পর প্রায়শই মানুষের গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়, তাই খাবারের সঙ্গে ১ গ্লাস বাটারমিল্ক পান করা উচিত।
ওজন কমাতে দরকারী
বাটারমিল্কই একমাত্র দুগ্ধজাত দ্রব্য যার ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। বাটার মিল্ক ওজন কমাতে এবং শরীরে শক্তি জোগাতেও সহায়ক। দুপুরের খাবারের সাথে ১ গ্লাস বাটারমিল্ক পান করলে তা দ্রুত ক্ষুধার্ত হওয়া থেকে বিরত রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে
বাটারমিল্কে এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। বাটার মিল্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে।
হাইড্রেশন
বাটার মিল্ক পান করলে শরীরে জলশূন্যতা হয় না। রাতের খাবারের সাথে ১ গ্লাস বাটারমিল্ক পান করলে শরীর সতেজ ও হাইড্রেটেড থাকে।
আরও পড়ুন : নিরামিষাশীদের জন্য ৫ টি সেরা উচ্চ প্রোটিন খাবার, জেনে নিন কেন এগুলো শরীরকে ফিট রাখতে গুরুত্বপূর্ণ
রক্তচাপ
দুপুরের খাবারে ১ গ্লাস বাটার মিল্ক খেলে রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের রক্তচাপের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা রয়েছে তাদের খাবারের সাথে ১ গ্লাস বাটারমিল্ক পান করা উচিত। এটি হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
রাতে বাটারমিল্ক পান করা এড়িয়ে চলুন
খাবারের সাথে ১ গ্লাস বাটার মিল্ক খেলেও আপনি খাবার থেকে সঠিক পুষ্টি পাবেন। কিন্তু রাতে বাটারমিল্ক পান করা এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এতে শীতল প্রভাব রয়েছে। রাতে এটি পান করলে ঠান্ডা ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।