ওয়েব ডেস্ক: ত্রিপুরা খেতমজুর ইউনিয়নের একাদশ রাজ্য সম্মেলনের শুরুতে বক্তৃতা দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি বলেন, ‘‘এক সময়ে তৃণমূল বিজেপির ছোট ভাইয়ের মতো আচরণ করেছে। বামফ্রন্টের মোকাবিলা করার জন্য এ কাজ করেছিল তারা।’’ ত্রিপুরাতেও তৃণমূলের ভূমিকা সম্পর্কে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন সম্মেলনের বিভিন্ন বক্তা। খাল কেটে কুমির আনার মতো তৃণমূলই বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে ডেকে এনেছে।
আসানসোলে-চন্দননগরেও বামেদের একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি
ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের মতে, ‘‘বিজেপির বিরুদ্ধে হাওয়া বইছে। যার প্রতিফলন ঘটবে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে।’’ তাঁর মতে, রাজ্যে নিষ্কর্মা ও অপদার্থ সরকার চলছে। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকারের ফ্যাসিস্ট মনোভাবের মধ্যেও যে ভাবে নানা আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে তা বিজেপির কাছে দমকা হাওয়ার মতো। মানিক সরকারের মতে, করোনা মোকাবিলায় কাজের কাজ কিছু করেনি কেন্দ্র। কেবল বিজ্ঞাপন করে কাটাচ্ছে। সেই সঙ্গে শিক্ষা নিয়ে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করেছেন মানিক সরকার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে শিক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা চলছে। কৃষক ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি সরকার।’’
শিলিগুড়ি পুরভোটে ‘তাক লাগানো’ প্রতিশ্রুতি বামেদের, থাকছে একগুচ্ছ জনমুখি কর্মসূচি
এই বিষয়ে অবশ্য বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘করোনা নিয়ে সারা বিশ্ব হিমসিম খাচ্ছে। মানিক সরকার যে দর্শনে বিশ্বাসী সে দর্শনে বিশ্বাসী চিনও লকডাউন কার্যকর করেছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘মানিক বাবুরা ক্ষমতায় থাকাকালীন কলেরা এবং ম্যালেরিয়া রোগ সামাল দিতে পারেননি। ওঁর মুখে এ সব কথা মানায় না।’’ নবেন্দুর মতে, ‘‘কোন দল কার সহোদর সবাই দেখেছেন। সম্প্রতি রাজ্যে পুরভোটের সময়ে তৃণমূলের নেতাদের কারা আশ্রয় দিয়েছেন তা দেখা গিয়েছে। সিপিএম অনেক সময়েই তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছে। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও অপপ্রচার শুরু করেছে তারা।’’