ওয়েব ডেস্ক: সীমান্তে আবারও একবার সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন। আর এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিদেশ মন্ত্রক। সোমবার সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারভানে জানিয়েছিলেন, পূর্ব লাদাখে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে চিন। শুধু তাই নয় ভারতের ইস্টার্ন কমান্ড পর্যন্ত সেই সেনা মোতায়েন রয়েছে। যা ভারতের কাছে বেশ চিন্তার বিষয়।
এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘পুরো পরিস্থিতির উপর প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাচ্ছে ভারত। যা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে সেনা পরিকাঠামোয় বদল আনা হচ্ছে। ভারত পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত। ‘ তিনি আরও জানান, অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে চিনের সঙ্গে ১৩ দফায় সেনাস্তরের বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত। তিনি আশা করছেন, সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে সহমত হবেন দুই পক্ষই।
প্রসঙ্গত, গত ২০২০ সালের মে মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তবে গত বছর গালওয়ান ও প্যাঙ্গং হ্রদের ধারে সংঘর্ষে যেভাবে ভারতীয় সেনার হাতে মার খেয়েছিল লাল ফৌজ, তারপরও তারা কোনও রকম আগ্রাসী রূপ ধরবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান সেনা প্রধান। আগামী সপ্তাহে বৈঠকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ইতিবাচক কোনও সমাধানসূত্র মিলবে বলেই আশাবাদী তিনি।
নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা মোদীর ছবিটি মিথ্যে প্রচার, বিবৃতি দিয়ে জানাল নিউইয়র্ক টাইম্স
গত বছরের মে মাসে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদের কাছে ভারত ও চিনা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের মাধ্যমে অশান্তির সূত্রপাত হয়। এরপর থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চিন। শুরু হয় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ। জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় তা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের আকার নেয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০ জওয়ানের মৃত্যু হয়। চিনের তরফে প্রথমে অস্বীকার করা হলেও পরে মেনে নেওয়া হয় যে ওই সংঘর্ষে তারাও বহু সৈন্য হারিয়েছিল।
মানবাধিকার কমিশনে রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
সংঘর্ষের পরই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে যে বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল দুই দেশের তরফেই, তা সরাতে উদ্যোগী হয় দুই দেশই। একাধিক সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পরই দুই পক্ষ সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়। প্যাংগং থেকে সেনা সরলেও এখনও পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন সংঘর্ষস্থলে সেনা প্রত্যাহার এখনও বাকি।
শুক্রবারই সেনা প্রধান নারাভানে পূর্ব লাদাখে সেনা প্রস্তুতি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যের খতিয়ান নেন। পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন অংশে গিয়ে তিনি জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন। বর্তমান পরিস্থিতি কি এবং কিধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে, সে সম্পর্কে তাকে বিস্তৃতভাবে জানানো হয়।