ওয়েব ডেস্ক: এ যেন কেন সিনেমার গল্প। আগে থেকেই খবর ছিল, জীবনতলার দেউলি বোদরা রোডে কোনও এক জায়গায় ছিনতাইয়ের লক্ষ্যে ২-৩ জন দুষ্কৃতীর একটি দল বাবুরহাট থেকে বোদরার দিকে যাবে। পুলিশ এটাও জানতে পারে তারা যাতায়াতের জন্য মোটর সাইকেল ব্যবহার করবে। এই খবর পাওর পরেই পুলিস তাদের তরফে দেউলি বাজার, ঘুটরি মোর, তালতলা মোড় এই তিন জায়গাই তাদের তিনটি দল মতায়ন করে দুষ্কৃতীদের ওপর নজর রাখার জন্য। সেখান থেকেই তাদের পাকরাও করা হয়।
জীবনতলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবর ও দুষ্কৃতীদের বর্ণনা দেখে দুই জনকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের নাম রফিকুল মোল্লা, মফিজুল গাজি। রফিকুলের বয়স ২৭ বছর, মফিজুলের ২৩। ফিকুলের বাড়ি জীবনতলায়। অন্যদিকে মফিজুল সন্দেশখালির মোঠবাড়ি হাজিরখাটখোলার বাসিন্দা। তল্লাশি চালিয়ে মফিজুলের কোমরে লুকোনো লোডেড আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশের জেরায় ধৃতরা তাদের ছিনতাইয়ের ছকের কথা স্বীকার করেছে। ধৃতরা জানিয়েছে, রাস্তায় পথচারীদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ছিনতাইয়ের ছক কষেছিল তারা। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে।
বসিরহাট সীমান্ত থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ১ অস্ত্র কারবারি
এমনি আরও এক ঘটনা ঘটেছিল গত অগাস্ট মাসে। অস্ত্র সহ ১২ জনের একটি ডাকাত দলকে গ্রেফতার করে তাদের অপরাধের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিল মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল গুলি সহ একটি দেশি বন্দুক,ভোজলি,ছুরি, রড সহ বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জাম। তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন ভোর রাত্রে এই ডাকাত দলটি মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন হোসনাবাদ এলাকায় জড় হয়েছিল ডাকাতির উদ্দেশ্যে। পুলিশ জানিয়েছিল, ওই এলাকার পেট্রোল পাম্পগুলিতেই ডাকাতির ছক কোষেছিল ওই ডাকাত দলটি। ওই ডাকাত দলের প্রত্যেকেই মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলেও পুলিশ জানিয়েছিল। গ্রেফতারেপ পর এই ১২ জনকেই তোলা হয় মেদিনীপুর আদালতে। আদালত প্রত্যেকেই ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল।