অসমে প্রায় তৈরি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প! রাখা যাবে প্রায় ৩০০০ বন্দি

by Chhanda Basak

ওয়েব ডেস্ক: ভারতে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য আসামে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প বা ডি-ক্যাম্প তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ৩০০০ এর ও বেশি মানুষ কে এই কয়েদখানাই বন্দি করে রাখা যাবে বলে জানা যাচ্ছে। গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১৫০ কিমি দূরে গোয়ালপাড়ার মাটিয়ায় তৈরি হচ্ছে এই ডিটেনশন ক্যাম্প টি।

অসমে প্রায় তৈরি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প! রাখা যাবে প্রায় ৩০০০ বন্দি

এই ক্যাম্প দেখে অনেকে আশঙ্কা করেছেন যে সব বাঙালিরা নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন না তাদের ওই খানে বন্দি করে রাখা হবে। প্রায় ৬৪ কোটি টাকা খরচ করে ২৫ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছে এটি। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সমস্ত ডি-ক্যাম্প গুলি গুড়িয়ে দেবে বিজেপি সরকার। কিন্তু বাস্তবে ফল হয়েছে উল্টো। ২০১৮ সালে দুধোনী নদীর তীরে ২ লক্ষ ৮৮ হাজার বর্গফুটের পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ডিটেনশন ক্যাম্পের কাজ শুরু হয়।

বর্তমানে প্রায়ে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, গোয়ালপাড়ার এই ডিটেনশন ক্যাম্পের ভিতর ৭টি ভালো মাপের ফুটবল মাঠ করা যেতো। প্রাচীরে ঘেরা ২৫ একর জমিতে ‘বিদেশী’দের জন্য তৈরি হয়েছে ১৭টি বড় বড় বিল্ডিং। এর মধ্যে ২টি হচ্ছে মহিলাদের জন্য। প্রতিটি বিল্ডিং-এ থাকছে অন্তত ২০০ জনকে রাখার ব্যবস্থা। ১২০টি বাথরুম ও টয়লেট তৈরি করা হচ্ছে আলাদা ভাবে। বন্দিশালার ভিতরে প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসপাতাল, বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকছে।

Pegasus কাণ্ডে তদন্তের দাবিতে এবার জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্টে

সঙ্গে থাকছে জেল পুলিশের আবাসন। সর্বত্রই থাকছে সিসিটিভির নজরদারি। অসম পুলিশের হাউজিং ডিপার্টমেন্টের তদারকিতে তৈরি হচ্ছে এই বিশাল বন্দিশালা। অসমে বর্তমানে ছ’টি ডিটেনশন ক্যাম্প বা ডি-ক্যাম্প রয়েছে। ছ’টিই কোনও না কোনও জেলখানাকে ক্যাম্পের রূপ দেওয়া হয়েছে। নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতি (সিআরপিসিসি)-র কো-চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্থ দাবি করেছেন, নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থদের ডি-ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের বিচারে ‘বিদেশি’রা বেশিরভাগই ভারতীয়।

Copyright © 2024 NEWS24-BENGALI.COM | All Rights Reserved.

google-news