ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে Covaxin আর আকাল। কার্যত ভাণ্ডার ফাকা বললেই চলে। যোগান না থাকাই কার্যত অসুবিধায় পড়তে চলেছেন দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকরা। জুলাই মাসে রাজ্যকে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে মোট ৭৩ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ২৩ লক্ষ ডোজ পেয়েছে রাজ্য। বিশেষ করে কোভ্যাক্সিনের জোগান না থাকায় পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে উঠেছে। সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার ভাঁড়ার থেকে কোভ্যাক্সিন পুরোপুরি শেষ। ফলে আজ থেকে কলকাতা পুরসভার কোনও কেন্দ্রে কোভ্যাক্সিন দেওয়া যাবে না।
রাজ্য ভ্যাকসিন স্টোরে Covaxin পড়ে রয়েছে ৩০০ – ৩৫০। কলকাতা ভ্যাকসিন স্টোর কার্যত শূন্য। এমাসে এখনও পর্যন্ত Covaxin এসেছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ডোজ।
রাজ্যের হিসেবে যদিও কোভ্যাক্সিন প্রাপকদের সংখ্যাটা খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু ভারত বায়োটেকের টিকা নিয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা একেবারেই কম নয় শহরে। এমন বহু ব্যক্তি রয়েছেন, যারা কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছেন। এখন দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁদের কি হবে? সেটা নিয়েও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি পুর কর্তৃপক্ষ। এর ফলে যে সকল ব্যক্তিদের কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ চলতি মাসেই নেওয়ার কথা, তাঁরা রীতিমতো অথৈ জলে পড়েছেন। কারণ কোভ্যাক্সিনের দুটি টিকার ডোজ নিতে হয় ২৮ দিনের ব্যবধানে।
অসমে প্রায় তৈরি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প! রাখা যাবে প্রায় ৩০০০ বন্দি
দিন-দুয়েক আগে মাত্র ৪০ হাজার Covaxin-র দ্বিতীয় ডোজ আসে। যা গোটা রাজ্যের মধ্যে সরবরাহ করা হয় এবং দ্রুত শেষ যায়। বুধবার ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ডোজ আসার কথা ছিল। যা গতকালও এসে পৌঁছায়নি। কবে পরবর্তী ডোজ আসবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই মুহূর্তে রাজ্যে যারা Covaxin-র প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, সেরকম প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশি প্রাপকরা নির্দিষ্ট দিনে Covaxin-র দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন না।