Table of Contents
ওয়েব ডেস্ক: সকালবেলা উঠে খালিপেটে Lemon Water বেশ জনপ্রিয়। কখনোবা লেবু-মধু-গরম জল। প্রচলিত ধারণা অনুসারে, খালি পেটে লেবু-জল পান করলেই শরীরের মেদ কমে। কিন্তু আদৌ কি এটির কোন কার্যকরী ভূমিকা আছে এই বিষয়ে?
পুষ্টিবিদ কিনিতা কাদাকিয়া প্যাটেলের মতে, উষ্ণ জলে লেবু খাওয়ার হল ওজন হ্রাস সম্পর্কে কল্পকাহিনী। তিনি আরও বলেন, যদিও এটির মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-C মানবদেহ পেতে পারে, তবে এটি ওজন কমাতে পারে এটি একেবারেই সত্য নয়।
গরম লেবু জল, কখনওই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাধারণ জলের থেকে উপযোগী নয়। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় হাই ক্যালরি পানীয় যেমন সফট ড্রিংকস, কোল্ড ড্রিংকস এমনকি ফ্রিজের ঠাণ্ডা জলের থেকে এটিকে কার্যকরী হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। লেবু জল শরীরকে শুধু হাইড্রেটেড রাখে না, তার সঙ্গে ত্বকের নানান সমস্যা যেমন, রিংকলস, নিস্তেজ ত্বক উজ্জ্বল করে। সূর্যের আলোর থেকে ত্বককে রক্ষা করতে গরম জলে লেবুর রস বেশ কার্যকরী।
মৌমাছি বা বোলতা কামড়ালে কি করবেন জেনে নিন
তাহলে কি গরম জল দিয়ে লেবু খাওয়া ঠিক হবে না?
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে, নিয়মিত জলের চেয়ে Lemon Water ভালো। তবে এটি উচ্চ-ক্যালোরি-যুক্ত পানীয়ের জায়গায় স্বল্প-ক্যালোরি-যুক্ত পানীয় হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে। এর মতো এটি সম্ভাব্য ওজন হ্রাসকে উত্সাহিত করতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, Lemon Water তখনই কাজে আসে, যখন তা কোনও উচ্চ ক্যালোরি-যুক্ত পানীয়র পরিবর্তে খাওয়া হয়। কেউ যদি একটা নির্দিষ্ট সময়ে ফলের রস বা উচ্চ ক্যালোরি-যুক্ত কোনও পানীয় খাওয়ার অভ্যাস থাকে। এর পর সেই অভ্যাস ত্যাগ করে ওই জায়গায় কেউ যদি Lemon Water খেতে শুরু করেন তবে, প্রাথমিক সময়ে ওজন কমে অবশ্যই। পরেও এই অভ্যাস বজায় রাখলে শরীর টক্সিন-মুক্তও থাকে। কিন্তু নিয়ম করে সকালে উঠে Lemon Water-র আলাদা করে কোনও ম্যাজিক নেই।
তবে লেবুর জল ত্বকের জন্য উপকারী। এটি আপনাকে কেবলমাত্র হাইড্রেটেড রাখে না কেবল ত্বকের জন্যও বিস্ময়কর কাজ করে। লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন C বার্ধক্য হ্রাস করতে সাহায্য করে। লেবু-জল মূলত শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। টক্সিন-মুক্ত থাকার কারণে কিডনি, লিভার অনেকটাই সুস্থ থাকে। অ্যাসিড রিফ্লাক্সকেও নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবে এমন পানীয় আদতে কিছু নেই।
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা, কি খাবেন, কি খাবেন না যেনে নিন
তবে সঠিক মাত্রায় ওজন কমাতে কি কি পানীয় খাওয়া কার্যকরী?
গ্রিন টি: গ্রিন টি ওজন কমাতে ভীষণ মাত্রায় কার্যকরী। সারাদিনে একবার গ্রিন টি খাওয়া খুবই ভালও। এতে উপস্থিত সঠিক মাত্রায় ক্যাফেইন আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের টক্সিন দুর করে, শরীর সুস্থ রাখে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: ওজন কমানোর এটি কিন্তু দারুণ জিনিস। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি নিরাপদ। এর অ্যাসিটিক অ্যাসিড শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে দিতে কার্যকরী।
আইসড কফি: আইসড কফি কিন্তু ওজন কমাতে বেশ কাজ দেয়। কফি বানিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রুম টেম্পারেচার করে রেখে দেওয়ার পর। কিছুক্ষণ এর জন্য ফ্রিজে স্টোর করলেই তৈরি।
হলুদ চা: হলুদ দুধ তো অনেকেই শুনেছেন, তবে হলুদ চা বেশ কার্যকরী ওজন কমাতে। চা-এর লিকার বানিয়ে, তাতে অল্প পরিমাণে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি হয়ে যাবে। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।