ওয়েব ডেস্ক: ‘কন্যাশ্রী’-কে ‘কন্নাশ্রী’ লিখে ট্রোলড হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও দিলীপের এ প্রসঙ্গে সাফাই, ‘অনুবাদ করতে গেলে এমন একটু হয়। দিল্লিতে তো আর বাংলা নেই। ওরা হিন্দি থেকে বাংলা অনুবাদ করে।’ এখানেই থামেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সমালোচকদের জবাব দিয়ে বলেছেন, ‘আমি সুযোগ দিয়েছি অনেককে খবর ছাপানোর জন্য। মন্তব্য করার জন্য।’ এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ এনে দিলীপ বলেন, ‘আমি জ্যাকেট পড়ে নৌকায় চেপে বন্যাত্রাণ বিলি করতে গেলে যা ছবি হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় জলে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে সেটা বেশি প্রচায় হয়। এটাই আজকাল নিয়ম। যারা এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’
এই ভুলের পর বিজেপির নেতাকে বর্ণপরিচয় পাঠালেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী। ই-মেল করে বর্ণপরিচয়ের পিডিএফ পাঠালেন তিনি। লিখেছেন, ‘দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে এটা কর্তব্য।’ স্পিড পোস্টে আগামীকাল নাকি পৌঁছে যাবে বইও। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তীব্র কটাক্ষ করে কংগ্রেসের বক্তব্য, আশা করি পরের বার থেকে বই পড়ে ডিসপ্লে বোর্ড তৈরি করবেন দিলীপ ঘোষ। তবে প্ল্যাকার্ডে কন্যাশ্রী বানান ভুল নিয়ে প্রথমে টুইটে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়ই। এরপরেই কংগ্রেসের তরফে কৌস্তুভ বাগচীকে অভিনব প্রতিবাদের পন্থা নিতে দেখা যায়।
সংসদের বাইরে বিরোধী ঐকে জোর, ২০ অগাস্ট অবিজেপি দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক সোনিয়ার
কৌস্তুভ বাগচী বলেন, ”আমি দেখলাম সংসদের বাইরে দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির নেতারা প্রতিবাদ করছেন। প্রতিবাদের ইস্যু নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। তাতে আমরাও পাশে রয়েছি। কিন্তু বাঙালি হিসাবে যা চোখে পড়ল প্ল্যাকার্ডগুলোতে যে সমস্ত বানান লেখা ছিল। ব্যকরণের স্পষ্ট জ্ঞান না থাকাতেই এটা ঘটেছে। তাই দায়িত্বশীল বাঙালি হিসাবে মনে হয়েছে, দিল্লির বুকে তাঁদের হাতে ওরকম বানান দেখে মানুষ কি ভাববে! সে কারণেই বর্ণপরিচয় পাঠানো উচিত। বাঙালির সম্মান যেন অটুট থাকে।”