ওয়েব ডেস্ক: সংসদে পেগাসাস নিয়ে আলোচনাই করতে দিচ্ছে না বিজেপি। এবার তাই সংসদের বাইরেই এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে সরব হল বিরোধিরা। বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়া করতে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন বিরোধী দলগুলি। সেই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন লোকসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধীও। সেই বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী দলগুলির দলনেতারা যুগ্ম ভাবে মুলতুবি প্রস্তাব আনছেন সংসদে।
একই সময়ে দলীয় বৈঠক থাকায় সাংবাদিক বৈঠকে থাকতে পারেনি তৃণমূল সাংসদরা। বিরোধীরা চাইছেন জাতীয় সুরক্ষা ও পেগাসাস নিয়ে যতক্ষণ সংসদে কথা বলতে দেওয়া হবে না, ততক্ষণ সংসদ অচল করেই রাখবেন তাঁরা।
এদিন রাহুল গান্ধি বলেন, “আমাদের স্বরকে দমন করা হচ্ছে সংসদে। আমাদের সাফ প্রশ্ন, ভারত সরকার কি পেগাসাস কিনেছে না কেনেনি? ভারত সরকার কি দেশের জনগণের ওপর নজরদারির জন্য হাতিয়ার ব্যবহার করেছে?”
রাহুল আরও বলছেন, “আমাদের সরকার বলেছে পেগাসাস নিয়ে সংসদের ভেতরে কোনও কথা হবে না। আমি ভারতের যুবকদের জিজ্ঞেস করছি, আপনাদের ফোনের ভিতরে যদি নরেন্দ্র মোদী আড়িপাতার কৌশল করেন, আপনারা কি ব্যবস্থা চাইবেন!”
অতীত সম্পর্কের সমস্ত দূরত্ব কাটিয়ে আজ দিল্লিতে মমতা-সনিয়া সাক্ষাত
রাহুলের কথায়, “এই হাতিয়ার আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে। তাহলে এই নিয়ে কেন সংসদে কথাবার্তা হবে না? আমাদের বিষয় বলা হয় আমরা সংসদের স্পিরিট নষ্ট করছি। আমরা সংসদকে নষ্ট করতে চাই না। বরং আমরা দ্বায়িত্ব পালন করতে চাই। ভারতের বিরুদ্ধে পেগাসাস কে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
নেতৃত্বে তৃণমূল, শান্তনু প্রসঙ্গে সংসদে দেখা গেল বিরোধী ঐক্য
উল্লেখ্য এদিন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে-সহ উত্তর-দক্ষিণের বহু বিরোধী দলনেতা। বিরোধীরা মনে করাচ্ছেন, এই ঘটনা দেশবাসীর স্বার্থে আঘাত। কারণ এই অস্ত্রকে ব্যবহার করা হয় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, দেশদ্রোহিতার বিরুদ্ধে। রাহুলের সরাসরি তোপ, “আমি নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহকে জিজ্ঞেস করছি এই সংস্থাকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কেন প্রয়োগ করলেন।”