ওয়েব ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন উত্তজেনা কিছুটা কমতির দিকে থাকলেও ফের তাপ বাড়ছে লাদাখ সীমান্তে! এবার পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ-রেখায় ১২০০০ থেকে ১৬০০০ ফুট উচ্চতায় মোতায়েন করা হল প্রথম K9 Vajra Howitzer কামান। ইতিমধ্যে লেহ-তে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরবণে। একপ্রস্ত হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। তবে শুধুমাত্র মুখের কথায় নয়, এবার বেজিংকে ‘ইঁটের বদলা পাটকেল’ দিতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে নয়াদিল্লী।
সেনা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রথমবার হাউইৎজার রেজিমেন্ট কে-৯ বজ্র মোতায়েন করেছে ভারত। চোখের পলকে ৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রু ঘাঁটিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারে এই কামান। সংবাদ সংস্থা ANI-কে সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরবণে বলেন, “দুর্গম এলাকাতেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করতে পারে এই কামান। এটা পরীক্ষিত সত্য। এবার আমরা একটা গোটা রেজিমেন্ট মোতায়েন করেছি।” তিনি আরও বলেন, ‘‘যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।’’
পূর্ব লাদাখে লালফৌজের সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন, দাবি সেনাপ্রধানের
সূত্রের খবর, প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রু ঘাঁটিকে টার্গেট করতে পারে এই কামান। ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের কামান সেনার হাতে তুলে দিয়েছিল। কেন্দ্রের ভারত নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় গুজরাতে লারসেন অ্যান্ড টুবরোর কমপ্লেক্সে তৈরি হয়েছে এই অত্যাধুনিক কামান। ১৫৫ মিমি/৫২ ক্যালিবারের এই গানগুলি সংযুক্ত করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ১০০ ইউনিট কে-৯ বজ্র সরবরাহ করার জন্য লারসেন অ্যান্ড টুবরো ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বরাত পেয়েছিল। সাউথ কোরিয়ার প্রযুক্তিও এই কামানের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই গানের ওজন প্রায় ৫৫ টন। ৪৭ কেজি পর্যন্ত বোমা নিক্ষেপ করা যায় এই কামানের মাধ্যমে।
ইজরায়েল থেকে আসছে নয়া হানাদার হেরন ড্রোন, কথা আমেরিকার সঙ্গেও
কয়েকদিন আগেই চিনের তরফে এক আজব দাবি করা হয়েছিল। গত বছরের জুনে গালওয়ান ভ্যালিতে সংঘর্ষের জন্য ভারতকেই দোষে চিন। বেজিংয়ের তরফে দাবি করা হয়, নয়াদিল্লী সীমান্ত-সংক্রান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে ও চিনের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে। তবে ভারত বরাবরই চিনের এই দাবি অস্বীকার করে।