বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লী যাচ্ছেন না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নয়াদিল্লী সফর স্থগিত করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম নয়াদিল্লী সফর। নীতি আয়োগের সভায় যোগ দিতে তাকে সেখানে যেতে হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, বিশেষ কারণে শেষ মুহূর্তে সফর বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আগামীকাল শুক্রবার নয়াদিল্লী যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এই ঘটনায় রাজ্যের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারণ বাংলার দাবি পূরণের জন্য তাকে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে হয়েছিল।
এদিকে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে NITI আয়োগ বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকা রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। তা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। আজ দিল্লি যাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি নীতি আয়োগ সভা বয়কট করছেন কিনা তা নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় বাজেটে যেমন অন্যান্য রাজ্যগুলিকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তেমনি বাংলাকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে তারাও একই পথ অনুসরণ করেছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সব দলের মধ্যে।
এবার শুধু অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহার যা পেয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। অবিজেপি শাসিত রাজ্য কিছুই পায়নি। অতএব, মুখ্যমন্ত্রী 27 জুলাই নয়াদিল্লীতে NITI আয়োগ পরিচালনা পরিষদের সভায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতে অংশ নিতে হবে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। তাই সেখানে গিয়ে দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন ছিল শুক্রবার। নয়াদিল্লিতে একটি ‘মিট দ্য প্রেস’ করার কথাও ছিল তাঁর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নয়াদিল্লী সফর স্থগিত করেন।
এখন যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেন, তাহলে এই বৈঠকের কোনও মানে নেই। কারণ সেখানে কোনো বিরোধী নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বহুবার NITI আয়োগের বৈঠকে যোগ দেননি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের অনেক টাকা পাওনা। কেন্দ্র সরকার অনেক প্রকল্পের তহবিল আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। আর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার আগের থেকে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন কিছু বিরোধী দল এতে যোগ দিক। কারণ এটা না করলে তা বিজেপির সভায় পরিণত হবে।