ওয়েব ডেস্ক: করোনা কালে যখন দেশ একটা সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তখন বিপুল ব্যয়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নির্মাণ নিয়ে বিরোধীরা আগেই প্রশ্ন তুলেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নতুন ভবন উদ্বোধন করে জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, সেন্ট্রাল ভিস্তার নামে মিথ্যা ছড়িয়েছে বিরোধীরা। আসল তথ্য গোপন করেছে।
প্রধান মন্ত্রী বললেন, ‘যারা সেন্ট্রাল ভিস্তাকে নিশানা করছিল, তারা চালাকি করে তথ্য লুকিয়েছে। প্রকল্পের এটাও যে অংশ যেখানে সাত হাজারের বেশি সেনা অফিসার কাজ করেন, সেনিয়ে চুপ ছিল। ওরা জানত, সত্যি সামনে আসলেই ওদের মিথ্যা আর চলবে না। আজ দেশ দেখছে সেন্ট্রাল ভিস্তায় কেন বিনিয়োগ করেছি? এই আধুনিক অফিসে দেশের সুরক্ষা সংক্রান্ত সব রকম কাজ সম্ভব হবে। আর আধুনিক ডিফেন্স এনক্লেভ নির্মাণের দিকে এটা বড় পদক্ষেপ।’
২০১৪ সালে যখন মোদী ক্ষমতাই এসেছিলেন তার পর সরকারি অফিস ও সংসদ ভবনের বেহাল দশা লক্ষ্য করেছিলেন। তাঁর কথায়,’আমি চাইলে ২০১৪ সালেই এটা করতে পারতাম। কিন্তু জাতীয় যুদ্ধ স্মারক তৈরির পর সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প শুরু করেছি। আগে স্মরণ করেছি শহিদ ও সাহসী সেনাদের।’ সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মাণের পিছনে তাঁর ভাবনাও ব্যক্ত করেন মোদী। তাঁর কথায়,’দেশের রাজধানী আর পাঁচটা শহরের মতো নয়। বরং দেশের চিন্তাভাবনা, দায়বদ্ধতা, সংস্কৃতি ও ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। ভারত গণতন্ত্রের মা। সে জন্য ভারতের রাজধানীর কেন্দ্রে থাকা উচিত সাধারণ মানুষকে।’
বিজেপি কে “Fake Hindu” বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাহুল গান্ধীর
নতুন করে এই ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ তৈরি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছিল বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা দাবি করেছিলেন, ওই প্রকল্পকে থামিয়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যয় করুক সরকার। এমনকি সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতাও করেছিল কংগ্রেস। সমস্ত সমালোচনা উড়িয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে,’অর্থের কোনও ঘাটতি নেই। অগাস্ট পর্যন্ত টিকার জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সকলে টিকা পাবেন।’