ওয়েব ডেস্ক: পেগাসাস (Pegasus) কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। অভিযোগ, বিরোধী নেতা থেকে বিচারপতি, ভোটকুশলী থেকে সাংবাদিক-আড়ি পাতা হয়েছে সকলের ফোনে। তাৎপর্য পূর্ণভাবে এই তালিকায় রয়েছে তৃণমূল সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও ভোটে কুশলী প্রশান্ত কিশোরের নামও। অর্থাৎ তাদের কাছে কার ফোন আসত, কার সঙ্গে তিনি কি কথা বলতেন, সবকিছুর উপরই চলত নজরদারি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ল্যাবের ডিজিটাল ফরেনসিক রিপোর্টে এমনটাই রয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম The Wire।
পেগাসাস (Pegasus) সফটওয়্যার পস্তুত কারক সংস্থা এনএসও (NSO) দাবি করেছে বৈধ সরকারই ‘পেগাসাস’ ক্রয় করতে পারে।
The Wire-এর রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে তালিকায় নাম থাকা হেভি-ওয়েটদের মধ্যে পলিটিকাল স্ট্র্যাটেজিস্ট Prashant Kishor-এর ফোনের ফরেনসিক টেস্ট করে দেখেন Amnesty। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রশান্ত কিশোরের ফোনে স্পাইওয়ারের অস্তিত্ব মেলে। বাংলায় আট পর্বে ভোট চলাকালীন ২৮ এপ্রিল অর্থাৎ শেষ পর্ব নির্বাচনের ঠিক আগের-দিন Pegasus Spyware Attack হয়েছিল বলে ফরেনসিকের দাবি। এই প্রথমবার নয় একাধিকবার হ্যাক হয়েছে I-Pac কর্ণধারের ফোন বলে দাবি ফরেনসিকে। এই প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘এই সব করে যে ভোটে জেতা যায় না বাংলার ফলই তাঁর প্রমাণ।’
Mamata-র ভার্চুয়াল শহিদ দিবসে এবার ৫০ লক্ষ কর্মী সমর্থকের অংশগ্রহণের দাবি TMC এর
ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’ টার্গেট করেছে রাহুল গান্ধী ও নতুন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকেও। সংবাদ সংস্থার দাবি, ৩০০টি মোবাইলে আড়িপাতা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’টি রাহুল গান্ধীর নম্বর। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাঁর নম্বরে আড়িপাতা হয়েছিল। বাদল অধিবেশনের ঠিক আগে ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় ‘সময়’ প্রশ্ন তুলেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর কথায়,’এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। বাদল অধিবেশন শুরুর একদিন আগে এই ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। এটা কাকতালীয় হতে পারে না।’
এবার মীনাক্ষী সৃজনদের নামে ফ্যান-পেজ নিয়ে আপত্তি তুল্য CPIM
যদিও কেন্দ্রের সাফাই, এই ধরনের কোনও হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেনি। ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার কোনও ভিত্তি নেই। সরকারের তরফে আরও বলা হয়েছে, ভারত একটি মজবুত গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে সব নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হয়। এই প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে ২০১৯-এ পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল আনা হয়েছে। ২০২১-এ আনা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আইন, যাতে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে।