ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে এখন ৭ কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাকি। সেই বিষয়েই কথা বলতে বৃহস্পতিবার TMC সাংসদদের একটা প্রতিনিধি দল দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের সাথে দেখা করতে যাই। সাক্ষাতের পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানায় কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর উপনির্বাচন নিয়ে আশাবাদী তাঁরা।
TMC এর দাবি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ভবানীপুর-সহ বেশ কিছু এলাকায় করোনা আক্রান্ত প্রায় নেই বললেই চলে। তাই উপনির্বাচনে দেরি করার কোনও কারণ নেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল প্রতিনিধি দল এই দাবি জানিয়ে এসেছে।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে হারের পর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে ৫ নভেম্বরের মধ্যে কোনও একটি বিধানসভা আসন থেকে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রার্থীদের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন বকেয়া রয়েছে আরও ৬টি কেন্দ্রে। ওদিকে করোনা পরিস্থিতিতে উপ-নির্বাচন নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না কমিশন। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধিদল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় তাঁদের।
তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী নাম জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায়
বৈঠক শেষে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে তা আমরা কমিশনের আধিকারিকদের বুঝিয়ে বলেছি। সঙ্গে জানিয়েছি মানুষ উপ-নির্বাচন চায়। প্রচারের জন্য কম সময় দিলেও আপত্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’ সুদীপবাবু দাবি, কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনেই উপ-নির্বাচন হবে। গোটা দেশে ২০টি বিধানসভা আসনে উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই সব জেলার করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। সুদীপবাবু বলেন, কমিশনের সঙ্গে কথা বলে উপ-নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।