ওয়েব ডেস্ক: ট্রাফিক জ্যামে আটকে আছেন। কানের পাশে দিয়ে তীব্র শব্দ করে একটা গাড়ি এগিয়ে আসছে। এমন অভিজ্ঞতা প্রায় সকলেরই হয়েছে। তবে আর না, খুব শীঘ্রই গাড়ির হর্নের কর্কশ শব্দের পরিবর্তে আসছে শ্রুতি মধুর শব্দ এমনি কথা জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী(Road and Transport Minister) নিতীন গডকড়ী।
এমনই অভিনব পরিকল্পনার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। সোমবার নাসিকে এক হাইওয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে তাঁর এই ভাবনার কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, অল ইন্ডিয়ান রেডিও-য় ভোরের দিকে একটি বাজনা শোনা যেত, তা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের জায়গায় ব্যবহারের কথা ভাবছেন তিনি। চিন্তাভাবনা আছে, মন্ত্রীদের গাড়িতে ব্যবহৃত সাইরেনের আওয়াজ বদলানোরও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও বলেন, কোনও মন্ত্রীর গাড়ি পাশ দিয়ে গেলেই লোকে বিরক্তি বোধ করেন। এমনটা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
লখিমপুর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা সুপ্রিম কোর্টের, শুনানি বৃহস্পতিবারই
নিতীন গডকড়ী (Nitin Gadkari) এদিন আরও বলেন, “আমি ভাবনাচিন্তা করছি এবং খুব শিগগিরি পরিকল্পনাও করব সব গাড়ির হর্নের শব্দ যাতে বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ দিয়ে করা যায়। বাঁশি, ভায়োলিন, মাউথ অরগ্যান, তবলা, হারমোনিয়ামের ধ্বনি বাজতে পারে গাড়ির প্যাঁ-পোঁ-ভোঁ-ভ্যাঁ-র জায়গায় !!
সোমবার তিনি ঘোষণা করেন, মুম্বাই – দিল্লি হাইওয়ের তৈরির ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এটি ভিওয়ান্দি হয়ে যাবে। পৌঁছবে জহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্ট অবধি। ভাসাইতেও হাইওয়ে তৈরির ঘোষণা করেন গডকড়ী।
জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কের নাম পরিবর্তন করে হতে চলেছে রামগঙ্গা জাতীয় উদ্যান
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) বেশ কয়েকটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক জংশনে ডেসিবল স্তর পর্যবেক্ষণ করেছে। চেন্নাই, দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই এবং হায়দ্রাবাদের মতো শহরগুলিকে দেশের সবচেয়ে শব্দ দূষণে আক্রান্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় শব্দের মাত্রা দিনের বেলায় ৫৫ ডেসিবলের (রাতে ৪৫ ডেসিবল) বেশি হওয়া উচিত নয়।
