Table of Contents
আজ আমরা আপনাকে এমন এক বান্ধবীর গল্প বলব যার প্রেমিক এমন কিছু করেছিল যে আজ প্রত্যেক মানুষ তার গার্লফ্রেন্ডের নাম দিনে কয়েকবার নেয়। এবার পুরো খবরটি বিস্তারিত জানা যাক।
কার প্রেম কাহিনী এটা
আসলে, আমরা টেলিফোনের উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের কথা বলছি। ১৮৭৬ সালে যখন তিনি টেলিফোন আবিষ্কার করেন, তখন তিনি প্রথম কলটি করেছিলেন তার বান্ধবী মার্গারেট হ্যালোকে এবং ফোনটি তোলার সাথে সাথেই তার মুখ থেকে প্রথম শব্দটি বের হয়েছিল ‘হ্যালো’।
কথিত আছে যে এখান থেকে সারা বিশ্বে এটি একটি প্রবণতা হয়ে উঠেছে যে ফোন তোলার পরে লোকেরা হ্যালো বলবে। আজও কেউ ফোন তুললে তার প্রথম শব্দটি হয় হ্যালো। এইভাবে, গ্রাহাম বেল তার গার্লফ্রেন্ডকে এত জনপ্রিয় করে তোলে যে আজ বিশ্বের প্রতিটি মানুষ তার নাম জানে এবং দিনে কয়েকবার তার নামও নেয়। তবে এই গল্প সোশ্যাল মিডিয়ার উপহার। বাস্তবতার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। চলুন এবার বলি প্রথম ফোন কলের সত্যতা।
গ্রাহাম বেল কাকে প্রথম ফোন করেছিলেন?
ব্রিটেনের লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে, গ্রাহাম বেল যখন ৭ মার্চ, ১৮৭৬ সালে টেলিফোনের পেটেন্ট পেয়েছিলেন, তখন তিনি আমেরিকায় তার সঙ্গী টমাস ওয়াটসনকে প্রথম কল করেছিলেন। একই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ফোন তোলার পর গ্রাহাম বেল হ্যালোর পরিবর্তে অহয় বলেছিলেন। এটি একটি ডাচ শব্দ, যার অর্থ কাউকে শুভেচ্ছা জানানো।
তাহলে এই হ্যালো কোথা থেকে এসেছে?
আপনি যখন অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধানে হ্যালো শব্দটি সন্ধান করেন, আপনি দেখতে পাবেন যে এই শব্দটি পুরানো জার্মান শব্দ হালা থেকে এসেছে। ফরাসি ভাষায় এই শব্দটিকে বলা হয় হোলা। মানে কেমন আছো। এই শব্দের প্রথম লিখিত উল্লেখ ১৮৩৩ সালে। যাইহোক, হ্যালো শব্দটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন টমাস আলভা এডিসন, যিনি বাল্ব আবিষ্কার করেছিলেন। ১৮৭৭ সালে যখন তিনি বাল্বটি আবিষ্কার করেন, তখন তিনি পিটসবার্গের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড প্রিন্টিং টেলিগ্রাফ কোম্পানির প্রেসিডেন্ট টিবিএ স্মিথকে একটি চিঠি লেখেন এবং তাকে বলেছিলেন যে টেলিফোনে প্রথম শব্দ হিসেবে ‘হ্যালো’ বলা উচিত। বলা হয়ে থাকে তখন থেকেই হ্যালো শব্দটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।