ওয়েব ডেস্ক: সম্প্রতি পাকিস্তান আফগানিস্তান বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নাগরিকরা এ দেশে থাকার জন্য এই নোটিস জারি করে কেন্দ্র সরকার। এই নোটিস পাঁচ রাজ্য যথাক্রমে গুজরাট, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানানো হই। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই তালিকায় বাংলার নাম নেই।
এই পরিস্থিতিতে মতুয়াদের নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee এর কাছে সহযোগিতা চাইছেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তবে মতুয়াদের এভাবে নতুন করে নাগরিকত্বের আবেদন করা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তাঁর প্রশ্ন, কেন মতুয়াদের নতুন করে আবেদন করতে হবে। বরং কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করুক, মতুয়ারা সবাই এদেশের নাগরিক।
বিধানসভা ভোটের আগে এই রাজ্যে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, বিধানসভা ভোট মিটলে ও করোনার টিকা করণের কাজ শেষ হলে নয়া নাগরিকত্ব আইন মোতাবেক মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যদিও ভোটের প্রচারে গিয়ে মতুয়াদের নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, মতুয়ারা তো এই দেশের নাগরিকই। তাঁরা তো এর আগেও নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ফলে নতুন করে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার মানে কি? উল্টে তৃণমূল নেত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই রাজ্যে এনআরসি ও সিএএ কার্যকর তিনি কোনও অবস্থাতেই করতে দেবেন না। ভোটে অবশ্য মতুয়াদের সমর্থন বিজেপির দিকেই গিয়েছিল।
অতিরিক্ত তৃণমূল বিরোধিতাই সিপিএমের এই ভরাডুবির কারণ বললেন সূর্যকান্ত মিশ্র
কিন্তু রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন Mamata Banerjee। এই পরিস্থিতিতে মতুয়াদের নতুন করে নাগরিকত্বের বিষয়টি তাহলে কি হবে। এই প্রশ্নই এখন মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এখনও পর্যন্ত সহযোগিতার কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে না দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে সহানুভূতির সঙ্গে দেখার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি না পেলে এই রাজ্যে নয়া নাগরিকত্ব আই কার্যকর করা অসম্ভব। আইন কার্যকর হলে গোলমাল শুরু হবে, রাষ্ট্রীয় সংহতি নষ্ট হবে।