ওয়েব ডেস্ক: এবার আদালত কর্মীদের মধ্যেই লুকিয়ে জালিয়াত! গ্রেফতার বাঁকুড়া আদালতের এক কর্মী ও তার বন্ধু। পুজোর সময়ে তৈরি হচ্ছিল আদালত কর্মীদের বোনাসের কাগজপত্র। সেই সময় ধরা পড়ে এক বড়সড় গরমিল। দেখা যায় বেশকিছু ভুয়ো অ্যাকাউন্টে দিনের পর দিন জমা পড়ছে টাকা। অভিযোগ, নামের বানান বদলে অন্যান্য কর্মী ও বিচারকদের নামে বন্ধুর অ্যাকাউন্টে টাকা পাচার করতেন তিনি। প্রীতম ভকত নামে ওই করণিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করেছে তাঁর বন্ধুকেও।
অভিযোগের তদন্ত নেমে পুলিস জানতে পারে একসময় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অ্যাকাউন্টস ক্লার্কের পদে থাকা প্রীতম ভকত আদালতের একাধিক কর্মীর নামের বানানের বিকৃতি ঘটিয়ে তাদের পৃথক কর্মী হিসেবে দেখায়। তার পর তাঁদের নামে বেতন জমা করতেন বন্ধু অভীকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এভাবে ১৩ মাস ধরে প্রায় ২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা পাচার করেছেন তিনি। বর্তমানে বাঁকুড়া ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বেঞ্চ ওয়ান ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত প্রীতম।
পুজোর আগেই সারানো হবে রাজ্যের সব রাস্তা, পুজো দেখার জন্য থাকছে বিশেষ পরিষেবা, ঘোষণা নবান্নের
বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে অভিযোগ করেন বাঁকুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ময়ূখ মুখোপাধ্যায়। এর পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায় পদাধিকার ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিলেন ওই আধিকারিক। পুলিস জানতে পেরেছে ওই টাকা আত্মসাৎ করার ক্ষেত্রে প্রীতমকে সাহায্য করেছে তার বন্ধ অভীক মিত্র। কর্মীদের নামের বানান বিকৃতি ঘটিয়েই তৈরি হতো ভুয়ো কর্মী। তারপর তাদের মাইনে পাচার করা হতো অভীক মিত্রর অ্যাকাউন্টে। দুজনকেই গ্রেফতার করে আজ বাঁকুড়া আদালতে তোলে পুলিস। তাদের ৫ দিনের পুলিসে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিপুল পরিমাণ টাকা অভিযুক্তরা কোথায় সরালেন? এই চক্রে আদালতের আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
