ওয়েব ডেস্ক: ত্রিপুরাতে বামেদের উপর বিজেপির তাণ্ডবের প্রতিবাদে এবার এ রাজ্যে পথে নামলো বামেরা। সেই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল CPIM। রাজ্যের নানান প্রান্তে মিছিল ও প্রতিবাদ সভা থেকে ধিক্কার জানানো হল ‘গেরুয়া সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে শামিল ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। সেখান থেকে তিনি বললেন, আক্রান্ত হলে প্রতিরোধের অধিকার সকলেরই আছে। বিজেপিকে দিল্লির ক্ষমতা থেকে হঠানোর আওয়াজও তোলা হল প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে।
পুরুলিয়ায় জেলা সিপিএমের আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিলে গিয়ে এ দিন সূর্যবাবু বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় বর্বরোচিত আক্রমণ হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে এই আক্রমণ চলছে। এই ফ্যাসিবাদী হামলার প্রতিবাদ চলবে। আক্রান্ত হলে প্রতিরোধের অধিকার মানুষ মাত্রেই আছে।’’ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারকে নিজের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সূর্যবাবুর বক্তব্য, ‘‘এর প্রতিবাদের জন্য কলিজার জোর দরকার! সিপিএম কর্মীদের তা রয়েছে। মনে রাখতে হবে, ত্রিপুরার লড়াই সারা দেশের লড়াই। এ রাজ্যেও প্রতিবাদ হচ্ছে।’’ কলকাতায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘জ্যোতি বসুর সেই পুরনো কথাটাই আবার বলতে হয়, বিজেপি একটি অসভ্য, বর্বরের দল!’’
কৃষকদের ডাকা ২৫ সেপ্টেম্বরের ভারত বনধ কে সমর্থন বামেদের, কি অবস্থান নিতে পারে TMC
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘এখনও কি ত্রিপুরায় সিপিএমের কোনও দফতর আছে? আমার সন্দেহ আছে! তৃণমূলকে হাওয়া দিতেই এই সব করা হচ্ছে।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘জানি না, ত্রিপুরায় কোন সংবাদমাধ্যমের উপরে কি হয়েছে। ত্রিপুরাকে অশান্ত করার চেষ্টা সেখানকার মানুষ পছন্দ করছে না।’’ ত্রিপুরায় গিয়েই রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিজেপির এই মনোভাবের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘কে কোন দল করবেন, সেটা তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসের ব্যাপার। কিন্তু বিরোধী বলেই তাদের উপরে আক্রমণ করতে হবে, দলের অফিসে ভাঙচুর, আগুন লাগাতে হবে— এই অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না।’’