ওয়েব ডেস্ক: ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী। সম্প্রতি, অধ্যাপকদের সাথে মান-বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এ বার, তাঁর কঠোর ‘অনুশাসনের’ জেরে অধ্যাপনায় ইস্তফা দিলেন অধ্যক্ষ-সহ একাধিক বিভাগীয় প্রধানরা।
ঘটনার সূত্রপাত হই, কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে ছোটোখাটো একটি চুরির ঘটনা কে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই চুরির ঘটনায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কিন্তু, চুরির ঘটনায় চুপ করে বসে থাকেননি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সমস্ত কিছু দেখার পর কর্তৃপক্ষের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হই এবং তাতে বলা হই প্রত্যেক দিন যেকোনো বিভাগে ঢুকতে গেলে অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও পড়ুয়াদের বিভাগীয় প্রধানকে জানাতে হবে। বিভাগীয় প্রধান তা অধ্যক্ষকে জানাবেন। অনুমতি পেলেই তবেই বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন সকলে। নয়ত, বিভাগে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না। কারা বিভাগে আসছে যাচ্ছে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা রোজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানাতে হবে।
এবার প্যাথলজিক্যাল টেস্টের খরচ বেঁধে দিল রাজ্য, জারি নির্দেশিকা
বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এ হেন ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ শিক্ষক মহল। শিক্ষাভবনের অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সুত্রের খবর। সেই চিঠি ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে, এই প্রথম নয়, সম্প্রতি, সংবাদমাধ্যমকে কটুক্তি করা থেকে শুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে শো-কজ করা একাধিক বিতর্কে নাম জড়িয়েছিলেন এই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফের আবার তাঁর ‘শাসনের’ জেরে বিতর্কের মুখে বিশ্বভারতী শিক্ষাঙ্গন।