Table of Contents
ভারত-মালদ্বীপ রপ্তানি:
মোহাম্মদ মোইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হলেও ভারত সবসময়ই সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। এদিকে শুক্রবার মালদ্বীপকে বড় ধরনের স্বস্তি দিয়েছে ভারত। ভারত শুক্রবার চলতি আর্থিক বছরে মালদ্বীপে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, চাল, গমের আটা, চিনি এবং ডালের মতো নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু খাদ্য দ্রব্য রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির অধীনে, 2024-25 অর্থবছরে মালদ্বীপে এই পণ্যগুলি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: LIC-র বিলগ্নিকরণের পথে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্র
ছাড় পাবে মালদ্বীপ
ডিজিএফটি জানিয়েছে, ‘মালদ্বীপকে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, চাল, গমের আটা, চিনি, ডাল এবং নদীর বালি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মালদ্বীপে এই পণ্যগুলির রপ্তানি বিদ্যমান বা ভবিষ্যতের যেকোনো বিধিনিষেধ থেকে অব্যাহতি পাবে। সাধারণত, এই জিনিসগুলির রপ্তানি হয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বা সীমিত রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। রপ্তানির জন্য নির্ধারিত পরিমাণ হল আলু (21,513.08 টন), পেঁয়াজ (35,749.13 টন), চাল (1,24,218.36 টন), গমের আটা (1,09,162.96 টন), চিনি (64,494.33 টন), ডাল (244.48 টন), নুড়ি (10 লাখ টন) এবং নদীর বালি (10 লক্ষ টন)।
প্রকৃতপক্ষে, মালদ্বীপে যে পণ্যগুলি পাঠানো হবে তা 1981 সালের পর থেকে সর্বোচ্চ হবে। আসলে, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে, মোদী সরকার পেঁয়াজ, চাল এবং চিনির মতো জিনিস রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সরকার মালদ্বীপকে স্বস্তি দিয়ে এসব জিনিস সরবরাহ অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: আপনার হাঁটুকে শক্তিশালী করার জন্য ৭ টি যোগ আসন
ভারত কেন এই পদক্ষেপ নিলো?
আসলে, ভারত তার প্রতিবেশী ফার্স্ট নীতির অধীনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায়। গত বছরও ভারত মালদ্বীপে পেঁয়াজ ও চিনি সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সম্পর্ক বেশ কিছুদিন ধরেই তিক্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও মালদ্বীপকে সাহায্য করেছে ভারত। মোহাম্মদ মইজ্জু ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তিনি ইন্ডিয়া আউট নীতি গ্রহণ করেছেন। এর পর সেখান থেকে ৮৮ জন সেনাকে সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। ভারতীয় সেনাদের প্রথম ব্যাচ গত মাসে ফিরেছে।