ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য সরকার সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করার পর ছড়িয়েছে নানা বিভ্রান্তি। কার্ডের ৫ লক্ষ টাকা শেষ হয়ে গেলে নিখরচায় পরিষেবা কি আর মিলবে না? সরকারি হাসপাতালে সব চিকিৎসা বিনামূল্যে করার কথা সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কি প্রয়োজন? সেই সংশয়ে দাঁড়ি টানলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
এদিন অজয়বাবু বলেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নয়, তথ্য সংগ্রহ করতে সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কে কোন রোগ নিয়ে সরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন। বেসরকারি হাসপাতালেই বা যাচ্ছেন কারা তা জানা যাবে। এছাড়াও কার্ডের টাকা ফুরিয়ে গেলেও, বিনামূল্যে চিকিৎসা মিলবে সরকারি হাসপাতালে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে টাকা ফুরিয়ে গেলেও মানুষ সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাবেন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে, টাকা আছে কি নেই, সেটা বড় কথা নয়।’
RG Kar থেকে সরতে চলেছে সাইকিয়াট্রিক বহির্বিভাগ
প্রসঙ্গত, গত ২৬ অক্টোবর নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী। বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প কিংবা ESI কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে কোনটাই না থাকলে, সরকারি হাসপাতালেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে। শুধু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নয়, সরকারি হাসপাতালে PPP মডেলে তৈরি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গেলেও, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
বাংলায় মুকুটে নয়া পালক, শিক্ষার মান বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক ‘স্কচ’ পুরস্কার পেল রাজ্য
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সরকারের এই সিদ্ধান্তের পিছনে সুচতুর পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বিনামূল্যে হওয়ায় প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে বহু মানুষ এসে চিকিৎসা করিয়ে যান। যার খরচ গুনতে হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক হলে সেই সম্ভাবনা থাকবে না। কারণ ভিনরাজ্যের নাগরিক সেই ঠিকানা দেখিয়ে কার্ড পাবেন না। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন না ভিনরাজ্যের মানুষ।
