8
Table of Contents
ওল বা কচুতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্ফটিক থাকে, যা কখনও কখনও “র্যাপিড” নামেও পরিচিত। এই সূঁচের মতো কণা মুখ, জিহ্বা এবং গলার মিউকাস মেমব্রেনে আটকে যায়, যার ফলে জ্বালাপোড়া, ব্যথা বা চুলকানি হয়। অনেক সময়, যদি ওল বা কচু ঠিকমতো রান্না না করা হয়, তাহলে এতে প্রচুর পরিমাণে র্যাপিড থাকে, যা চুলকানি বাড়ায়। ওল বা কচু খাওয়ার পর গলায় চুলকানি নিরাময়ের জন্য কোন ঘরোয়া প্রতিকার গ্রহণ করা উচিত তা জেনে নিই।
ঘরোয়া প্রতিকার দিয়ে গলায় চুলকানি কমানোর উপায় –
- ওল বা কচু খাওয়ার পর যদি গলায় চুলকানি হয়, তাহলে হালকা গরম দুধ বা মধু পান করতে পারেন। আধা কাপ গরম দুধে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে গলায় জ্বালাপোড়া দ্রুত কমে যাবে।
- এছাড়াও, হালকা গরম জলে লবণ মিশিয়ে গার্গল করতে পারেন। এতে গলা জ্বালাপোড়া থেকে অনেক উপশম হবে।
- গুড় খাওয়া যেতে পারে। কাঁচা গুড় মুখে রাখলে প্রায়শই চুলকানি কমে।
- লেবুর রস বা লেবুর রস পান করলেও আরাম পাওয়া যায়। লেবুর টক রস ক্যালসিয়াম অক্সালেটের প্রভাব কিছুটা কমিয়ে দেয়, যা গলায় আরাম দেয়।
- নারকেলের দুধ পান করলেও অনেক ক্ষেত্রে চুলকানি কমে। ওল/কচু খাওয়ার পর যদি গলা চুলকায়, তাহলে নারকেলের দুধ পান করতে পারেন।
আরও পড়ুন : HDL vs LDL vs Triglycerides কি? এগুলি কীভাবে পরিচালনা করা যায়
রান্না করার সময় এই বিষয়গুলো মনে রাখলে চুলকানির সমস্যা এড়াতে পারে —
- লেবু/তেঁতুল/দই ব্যবহার – কাটা ওল বা কচুতে লেবুর রস ঘষতে পারেন। দই বা তেঁতুলের জলে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্ফটিক ভেঙে যায়। ফলে গলা চুলকাবে না।
- ওল বা কচুতে সরিষার তেল এবং লবণ ঘষতে পারেন। প্রথমে টুকরো করে কেটে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর সরিষার তেল, লবণ এবং সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর রান্না করলে গলা চুলকাবে না।
- ভালো করে ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত জলে অল্প লবণ দিয়ে কুঁচি করা ওল/কচু ফুটিয়ে নিন, জল ঝরিয়ে নিন এবং তারপর রান্না করুন। এতে চুলকানির উপাদান দূর হয়।
- ভালো করে ভাজুন। রান্নার শুরুতে টুকরোগুলো ভালো করে ভাজুন, এতে খাওয়ার পর গলা চুলকানি রোধ হবে।
- অল্প পরিমাণে মশলা ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, রান্নায় সরিষার পেস্ট, রসুন, জিরা এবং কাঁচা মরিচ ব্যবহার করলে চুলকানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
