Table of Contents
আজকাল শিশুরা বাইরের খাবার খেতে খুব পছন্দ করে। তাই তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হলো গ্যাস ও অ্যাসিডিটি। তিনিও পেটের পীড়ায় ভুগছেন। তবে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে প্রথমে শিশুকে অ্যান্টাসিড দেবেন না। পরিবর্তে, তার খাদ্যতালিকায় কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে তার পেটের সমস্যা দূর হবে।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, কোন খাবার শিশুর সুস্থ পেট ফিরিয়ে আনবে? উত্তর জানতে এই নিবন্ধটি পড়ুন। তাহলে এই খাবারগুলোকে লিটল গোল্ড ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন। আশা করি, এটি করলে আপনার শিশুর সুস্থ পেট ফিরে আসবে। এর পাশাপাশি অনেক জটিল রোগও নিরাময় হবে।
দইয়ের বিকল্প নেই
শিশুদের পাতে ঘরে পাতা দই রাখতে হবে। কারণ, এসব দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে ল্যাকটোব্যাসিলাস। আর এই পদার্থের গুণাগুণ অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। ফলে অন্ত্র সুস্থ থাকে। কোলনের হাল ফেরে।
যাইহোক, প্রতিদিন মিষ্টি দই খাওয়া এই সুবিধা প্রদান করবে না। বরং এতে শরীরের ক্ষতি হবে। তাই শিশুকে টক দই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। আশাকরি এই খাবারটি খেলে উপকার হবে।
আরও পড়ুন : চায়ের সঙ্গে ‘টা’ তে খাচ্ছেন এসব খাবার? এখুনি বন্ধ করুন, না হলে বড় বিপদ
আপনার খাদ্যতালিকায় উচ্চ ফাইবার কার্বোহাইড্রেট অন্তর্ভুক্ত করুন
শিশুকে নিয়মিত উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। কারণ, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার মলত্যাগের গতি ফিরিয়ে আনতে পারে। হজমশক্তি বাড়ায়। অনেক জটিল রোগও দূরে রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন। আর এরকম কিছু খাবারের আইটেম হল ওটস, ডালিয়া, ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত ইত্যাদি। তাই সময় নষ্ট না করে এই খাবারটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করুন। উপকৃত হবে।
সর্বকালের সেরা ব্রোকলি
ব্রকলি ভিটামিন সি এর উৎস। আর এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে অনেক জটিল রোগই হয় না। এছাড়াও এতে থাকা ফাইবারের গুণাগুণ অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। গ্যাস অ্যাসিডিটি আক্রমণ করতে পারে না। এ ছাড়া নিয়মিত এই সবজি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও ধারে কাছে আসার সুযোগ পায় না। তাই আপনার সন্তানের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ব্রকলির মতো সবজি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন।
মিষ্টি আলুও সেরা
সাধারণ আলু থেকে মিষ্টি আলু পিছিয়ে। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে মিষ্টি আলু নিয়মিত খেলে পেটের সমস্যা সহজেই সেরে যায়। গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
তবে বিষয়টি এখানেই শেষ নয়, এই আলু ভিটামিন এ-এর ভান্ডার। আর এই ভিটামিন একাই শরীর ও স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ১০০% কার্যকরী। তাই প্রতিদিন আপনার শিশুকে মিষ্টি আলু খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন : দুগ্ধজাত পণ্যের উপর A1 এবং A2 লেবেলিং কি? ব্যাখ্যা করেছে FSSAI
আদার সাথে বন্ধুত্ত করুন
আপনার সন্তান কি প্রতিদিন গ্যাস এবং অ্যাসিডিটি নিয়ে সমস্যায় পড়ে? তাই তাকে নিয়মিত আদা খেতে শেখান। কারণ এই উপাদানটি পেটের সমস্যা দূরে রাখে। অনেক রোগকে কাছেও আসতে দেয় না। তাই প্রতিদিন শিশুকে কাঁচা আদা খাওয়ান। আর যদি সে কাঁচা আদা খেতে না চায় তাহলে তাকে আদা জলের সাথে গিলে খেতে বলুন।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার আগে, একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।