ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসু। প্রিয়নাথ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাই জানিয়েছিলেন অবসর নেওয়ার পর ইরাদেবীর পেনসনে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেটা আর হাতে পাননি তিনি। পিএফের টাকা হাতে পেলেও পেনসনের টাকা পাননি তিনি। তারপরেই পুরসভার পক্ষ থেকে ইরাদেবীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এখন তিনি ফিরে গিয়েছেন তাঁর খড়দহের বাড়িতে। সেখানেই রয়েছেন ইরাদেবী। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী জানিয়েছেন, ইরাদেবী স্বেচ্ছায় এই জীবন বেছে নিয়েছেন।
তাঁর এই পরিণতি জানার পরই সরকারের তরফে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বেশ কয়েকদিন সেখানেই চলে চিকিৎসা। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ তিনি। বৃহস্পতিবারই ফিরেছেন খড়দহের বাড়িতে। বাড়ি ফিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করলেন তিনি। মমতা সরকারের আমলে পেনশন না পাওয়ায় সামান্য ক্ষোভ থাকলেও গত কয়েকদিনে রাজ্যের সহযোগিতায় আপ্লুত ইরাদেবী। তিনি বলেছেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকেরা আমার কাছে এসে জানিয়েছেন দ্রুত পেনশনের ব্যবস্থা করা হবে। উনি বলেছেন যখন নিশ্চয়ই পাব।”
এক মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন জমা পড়ল ১ কোটি ৮০ লক্ষ
এদিন সল্টলেকের বাড়ি-সহ একাধিক বিষয়ে মুখ খুললেন ইরাদেবী। তিনি বলেন, “সল্টলেকের বাড়িতে থাকলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সেই কারণে তিনি বাড়িতে থাকতেন না। রাস্তায় নেমে এলেও কোনোদিন কারও থেকে সাহায্য নিইনি।” ইরা বসুর সাফ কথা, প্রয়োজনে ফের রাস্তায় নামলেও কারও কাছে নিজের সমস্যা জানাবেন না তিনি। তিনি যে সময় অবসর গ্রহণ করেছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তা সত্ত্বেও পেনশন পাননি ইরাদেবী। তবে তিনি স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রীর প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই। বরং তাঁরা তাঁর কাছের।