ওয়েব ডেস্ক: স্কুল ইউনিফর্ম কেনার জন্য সরকার অনুদান দেয়। সেই টাকা এসেছে কি না জানতে বিহারের কাটিহার জেলায় স্টেট ব্যাঙ্কের Centralised Processing Centre(CPC)এ জানতে গিয়েছিল দুই ছাত্র। পাস বই আপডেট করার পর জানা গেল, গ্রামের ওই দুই স্কুল পড়ুয়া কিশোরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হঠাৎই ট্রান্সফার হয়েছে ৯০০ কোটি টাকা।
বুধবার সন্ধেবেলা খবরটা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই সব মানুষই ব্যাঙ্কে নিজের ব্যালেন্স চেক করার জন্য লাইনে দাঁড়ান। ওই গ্রামের দুই স্কুল পড়ুয়ার মধ্যে আশিস নামের একজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৬ কোটি ২০ লক্ষ ১১ হাজার এবং ১০০ টাকা। অন্যদিকে গুরু চরণ বিশ্বাসের ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে ৯০৫ কোটি টাকা ! দু’জনেই ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। পড়াশোনার জন্য সরকারি অনুদান হিসেবে টাকা জমা পড়ার কথা ছিল। কিন্তু তাই বলে একেবারে কোটি কোটি টাকা জমা পড়বে, তা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি।
আপাতত দু’জনের অ্যাকাউন্টেই সবরকম লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাঙ্ক। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা পর্যন্ত ওই দুই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজই থাকবে। কীভাবে কার গাফিলতিতে এমন বিশাল ভুল হয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের একশো প্রভাবশালীদের তালিকায় মোদীর সঙ্গে মমতাও
পাশাপাশি ছাত্রদের অ্যাকাউন্টে কীভাবে এত টাকা এলো তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কের পদস্থ কর্তাদেরও এব্যাপারে জানানো হয়েছে। তবে শুধু ছাত্রদের নয়, খাগারিয়া জেলায় এক গৃহ শিক্ষক রঞ্জিত দাসের অ্যাকাউন্টেও সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা আচমকাই এসে যায়। ব্যাঙ্কের ভুলেই তাঁর অ্যাকাউন্টে এভাবে এত টাকা এসে যায় বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে ওই টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন ওই শিক্ষক। তাঁর সাফ কথা সরকার টাকা দিয়েছে। সেই টাকা ব্যাঙ্ক অবৈধভাবে তুলে নিতে চাইছে।
কেন ২০ হাজার কোটি খরচে সেন্ট্রাল ভিস্তা? এবার জবাব দিলেন মোদী
রঞ্জিত দাস পুলিশকে জানিয়েছেন, কোভিড ও লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকার ওই টাকা আমার অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। নানা ধরনের ব্যাঙ্কিং প্রতারণা আজকাল হচ্ছে। সেকারণে আমি টাকা ফেরত দিতে চাইনি। তাছাড়া প্রয়োজনে আমি ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৭০ টাকা খরচও করে ফেলেছি। সরকার টাকা পাঠানোয় আমি খুশি। না হলে আমার খালি অ্যাকাউন্টে এত টাকা আসবে কি করে? মঙ্গলবার রঞ্জিত দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।