কলকাতা : একুশের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলের স্লোগান ছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়”। এবার সেই স্লোগানকেও ছাপিয়ে গেল নতুন স্লোগান ভারত মমতা দিদিকে চায় (#IndiaWantsMamataDi)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই উত্তাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম টুইটের ময়দান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীকে কংগ্রেস না, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারেন হারাতে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ করেই লড়তে চাইছে বিজেপি বিরোধী দলগুলো।
ছবি : সৌজন্যে টুইটার
প্রসঙ্গত, ৩৪ বছরের সিপিএম শাসন শেষ করে ২০১১ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দল-নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াকু মনোভাব বাংলা সহ গোটা ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বেশ পছন্দের। একদা বাম শাসনকে হারানো নেত্রীকে নিয়েই বাংলা দখলের পর ভারত দখলের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। অন্যদিকে জাতীয় স্তরেও ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু আদৌ কি সেটা সম্ভব? সেটা নিয়ে রয়েছেন অনেক মতানৈক্য।
প্রসঙ্গত একুশের নির্বাচন যে দ্বিমুখী লড়াই হতে চলেছিল সেটা আভাস পাওয়া গিয়েছিল অনেক আগেই। আর এই দ্বিমুখী লড়াই ছিল মূলত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে। আর এই কারণে বিজেপি এই রাজ্যে কোনও মুখ নিয়ে নামেনি। বিজেপি একুশের নির্বাচনে বরাবরই প্রধানমন্ত্রীকে মুখ করেই ভোট চেয়েছে। তবে নরেন্দ্র মোদীর মুখ তৃণমূল নেত্রীকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। কিন্তু এটাও চিন্তার বিষয় যে, দুবারের মুখ্যমন্ত্রীকে হারাতে না পারলেও বিজেপি গতবারের বিধানসভার তুলনায় এবার ৭৪টি আসন বেশি পেয়েছে। তবে, গেরুয়া শিবির তৃণমূলের কোনও ক্ষতিই করতে পারেনি, উলটে তৃণমূলের আসন সংখ্যা আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এবার ৫০০ টাকা করে পাবে রাজ্যের সব পরিবার : মামতা
নির্বাচন চলাকালীনই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে অপশাসন এবং অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি তৈরি করার অভিযোগ তুলে ছিলেন। সেই সময় তিনি কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী সহ দেশের তাবড় তাবড় নেতাদের এক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার আহ্বান করেছিলেন। আরেকদিকে, একুশের নির্বাচনে শিব-সেনা, আরজেডি, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি সহ অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছিল রাজ্যবাসীকে।
Yaas এ খতিগ্রস্থ দের ত্রাণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে চালু হতে চলেছে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প
এখন প্রশ্ন উঠছে, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও কি একই জোট দেখা যাবে অবিজেপি দলগুলোর মধ্যে? যদিও এর আগে উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও অবিজেপি দলগুলো নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির বিরুদ্ধে এক হওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারিনি। এবার আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে সরকার গঠন করা মমতাই কি লোকসভা নির্বাচনে আশা দেখাচ্ছে বিজেপি বিরোধী জোটকে? সেহেতু প্রশ্ন উঠছে, টুইটারে ভারত দিদিকে চাই ট্রেন্ড হলেও কি আদৌ এই স্বপ্ন সফল হবে?