ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশই চওড়া হচ্ছে কোভিডের থাবা। পজিটিভিটি রেট বাড়ায় হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। কলকাতায় এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই পরিস্থিতিতে এবার কোভিড আক্রান্তদের কাছে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিতে অভিনব উদ্যোগ নিলো রাজ্য। হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালু করল সরকার। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের পক্ষ থেকে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোভিড সংক্রমিতদের বাড়িতে ডেলিভারির করে পৌঁছে দেওয়া হবে সুষম রান্না করা খাবার।
এদিন বাংলার গর্ব মমতার টুইটার হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, রাজ্য পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোভিড-সংক্রমিত ব্যক্তিদের হোম ডেলিভারি পরিষেবার মাধ্যমে সুষম খাদ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কোভিড সংক্রমিত ব্যক্তিদের পাশে থাকতে সোমবার থকে খাবারের হোম ডেলিভারি শুরু করা হবে। নবান্ন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা করোনা আক্রান্তদের পরিবারের জন্য বাড়িতে ডেলিভারির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দিতে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি এই কাজ করবে রাজ্য পুলিশও।
ইতিমধ্যেই প্রায় প্রতিটি জেলাতেই প্রশাসনের উদ্যোগে প্যাকেট করা চাল, ডাল, মুড়ি, বিস্কুট সহ শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কোভিড রোগীদের বাড়ি। জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক আক্রান্তকে তিন কেজি করে চাল, দেড় কেজি ডাল, এক কেজি মুড়ি, পাঁচ প্যাকেট বিস্কুট পৌঁছে দিতে। শুকনো খাবারের পাশাপাশি এবার রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আরও বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। শহর কলকাতায় দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গোটা পরিবার সংক্রমিত। সে ক্ষেত্রে দুর্বল শরীরে কোভিড রোগীদের পক্ষে বাড়িতে রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে খুশি সকলেই।
ট্রেনের সাধারণ কামরায় আর ছানা নিয়ে এবার থেকে ওঠা যাবে না, নির্দেশিকা জারি করলো পূর্ব রেল
এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে করোনা আক্রান্তের বাড়িতে ফল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ১২ টি ফল নিয়ে একটি ঝুড়ির সঙ্গে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা, গেট ওয়েল সুন। কলকাতার ফল পট্টিতে এই ফলের ঝুড়ি প্যাক করা হচ্ছে। দিন দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আতঙ্কিত হবেন না, সাবধানে থাকুন। মাস্ক ব্যবহার করুন, মাথায় টুপি পরুন। সামনের কয়েকটা দিন গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনায় আক্রান্ত CPIM নেতা মহম্মদ সেলিম অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে ফলের ডালা বা মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা যায়নি।