Table of Contents
আজকাল অনেকেই ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছেন। মোবাইল বা ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ কাজ করা, ভুল ভঙ্গিতে বসে থাকা এবং বিশ্রামের অভাবকে এর পেছনে সাধারণ কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রায়শই, মানুষের ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে তারা এটিকে সার্ভিকাল বলে মনে করে এবং তদন্ত ছাড়াই চিকিত্সা শুরু করে। তবে প্রতিবারই যে ঘাড় ব্যথার কারণ সার্ভিকাল হবে তা নয়। অনেক ক্ষেত্রে শরীরে পুষ্টির অভাবে ঘাড় ব্যথাও হতে পারে। বিশেষ করে যখন ব্যথা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, ঘাড় শক্ত হয়ে যায় বা এমনকি সাধারণ নড়াচড়া করতেও অসুবিধা হয়, তখন এটি কিছু অভ্যন্তরীণ ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এটাকে অবহেলা করা উচিত নয়।
আসুন জেনে নিই কোন ভিটামিনের অভাবে ঘাড় ব্যথা কি হতে পারে এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কি করা উচিত।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘাড়ে ব্যথা হয়?
লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালের ডাঃ এল.এইচ. ঘোটেকার ব্যাখ্যা করেছেন যে শরীরে ভিটামিন D এবং ভিটামিন B12 এর অভাবের কারণে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। ভিটামিন D-এর অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং পেশী শক্ত হয়ে যেতে পারে, যার কারণে ঘাড়ে ব্যথা অনুভূত হয়। ভিটামিন B12 স্নায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এর ঘাটতির কারণে, স্নায়ুতে দুর্বলতা, ঝাঁকুনি এবং ব্যথার অভিযোগ থাকতে পারে, যা ঘাড়কে প্রভাবিত করে।
অনেক সময় এই ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং বিশ্রামের পরেও পুরোপুরি চলে যায় না। শরীর সময়মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন না পেলে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। অতএব, এটিকে শুধুমাত্র সার্ভিকাল হিসাবে চিকিত্সা করার আগে, ভিটামিনের ঘাটতি পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
ভিটামিন D এবং ভিটামিন B12 এর অভাব কীভাবে দূর করবেন?
ভিটামিন D-এর ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন কিছু সময় রোদে বসলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও খাদ্যতালিকায় দুধ, দই, ডিম এবং ফোর্টিফাইড খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। যেখানে ভিটামিন B12 এর জন্য দুধ, দই, পনির, ডিম এবং নন-ভেজ খাওয়া সাহায্য করে।
আরও পড়ুন : শীতকালেও মুখ উজ্জ্বল হবে, বিউটি পার্লারের ব্যয়বহুল খরচ বাঁচাতে এই কৌশলটি ব্যবহার করুন
নিরামিষভোজীদের মধ্যে B12 এর ঘাটতি বেশি দেখা যায়, এই ধরনের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করা এবং সময়ে সময়ে পরীক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সময়মতো ঘাটতি পূরণ করা যায়।
এটি ঘাড় ব্যথা নিরাময়ের জন্যও প্রয়োজনীয়
- সঠিক ভঙ্গিতে বসার অভ্যাস করুন।
- একই অবস্থায় বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না।
- ঘাড়ের হালকা ব্যায়াম করুন।
- মোবাইল ও ল্যাপটপের ব্যবহার সীমিত করুন।
- ব্যথা তীব্র হলে, একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
