Table of Contents
শীত মৌসুমে, অনেকেরই ঘন ঘন বা ক্রমাগত মাথাব্যথা হয়। ঠাণ্ডা বাতাস, কম সূর্যালোক, রুটিনে পরিবর্তন এবং শরীরের অলসতা এই ঋতুতে সাধারণ। এমন পরিস্থিতিতে সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মাথা ভারী হওয়া, মাথার দুপাশে ব্যথা বা মাথাব্যথার মতো অভিযোগ দেখা যায়। কখনও কখনও এই ব্যথা হালকা হয়, কিন্তু কিছু মানুষের জন্য এটি একটি দৈনন্দিন সমস্যা হয়ে ওঠে। যদি সময়মতো মনোযোগ দেওয়া না হয়, মাথাব্যথা কাজ এবং ঘুম উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে।
শীতকালে ক্রমাগত মাথাব্যথার কারণগুলি বোঝা এবং যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
শীতে মাথা ব্যথার কারণ কি?
আরএমএল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ডাঃ সুভাষ গিরি ব্যাখ্যা করেন যে শীতকালে তাপমাত্রা কমে যায় এবং রক্তনালীগুলি সংকুচিত হয়, যা মাথায় চাপ বাড়াতে পারে এবং ব্যথার কারণ হতে পারে। ঠাণ্ডা বাতাস সরাসরি মাথায় বা কানে বইলেও মাথাব্যথা বেড়ে যায়। শীতকালে কম সূর্যালোকের কারণে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যার প্রভাব মাথাব্যথা আকারে দেখা যায়।
এ ছাড়া কম জল পান করলে ডিহাইড্রেশন হয়, যা মাথাব্যথার একটি বড় কারণ। বদ্ধ ঘরে অতিরিক্ত হিটার বা ব্লোয়ার ব্যবহার করলে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়, যার ফলে মাথা ভারী হয়ে যায়। সাইনাসের সমস্যা, ঠাণ্ডা ও নাক বন্ধ হওয়া শীতে মাথাব্যথাও বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া দেরিতে ঘুমানো, প্রতিদিনের খারাপ রুটিন এবং মানসিক চাপের কারণেও এই মৌসুমে ঘন ঘন মাথাব্যথা হয়।
আরও পড়ুন : কাদের ভাজা চিনাবাদাম এড়িয়ে চলা উচিত? এর সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি?
কিভাবে মাথাব্যথা প্রতিরোধ করবেন?
শীতে মাথাব্যথা এড়াতে শরীরকে উষ্ণ ও হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি। ঠাণ্ডার মধ্যেও পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা গরম জল পান করতে থাকুন। মাথা এবং কান ঠাণ্ডা বাতাস থেকে রক্ষা করার জন্য একটি টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদে বসলে উপকার পাওয়া যায়,
এটি শরীরে ভিটামিন ডি সরবরাহ করে। হালকা ব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং রক্তপ্রবাহ উন্নত করে, যা মাথাব্যথা কমাতে পারে। বন্ধ ঘরে সঠিক বায়ুচলাচল বজায় রাখুন এবং হিটার ব্যবহার সীমিত করুন। পর্যাপ্ত ঘুমান এবং গভীর রাতে জেগে থাকা এড়িয়ে চলুন। সাইনাস বা সর্দির সমস্যা থাকলে বাষ্প নিলেও উপশম পাওয়া যায়।
এটাও গুরুত্বপূর্ণ
- মাথাব্যথা তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না।
- মানসিক চাপ কম রাখার চেষ্টা করুন।
- খুব বেশি ক্যাফেইন খাবেন না।
