Table of Contents
ওয়েব ডেস্ক : বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৮০ শতাংশ কোভিড কেসই হালকা প্রকৃতির। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই Covid এর হালকা লক্ষণ আছে। তারা হোম আইসোলেশনের মাধ্যমে, বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করেই, সেরে উঠছে।
হালকা সংক্রমণের উপসর্গ
- শুকনো কাশি, গলা ব্যথা, সর্দি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- হালকা জ্বর
- অত্যন্ত ক্লান্তি
- গন্ধ ও স্বাদ চলে যাওয়া
- শরীরে ব্যথা হওয়া ও মাথা যন্ত্রণা করা
- ডায়রিয়া, বমি ভাব বা বমি
এছাড়াও, হালকা বা মাঝারি সংক্রমণের ক্ষেত্রে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, এই ধরনের লক্ষণগুলিও দেখা দিতে পারে।
গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে কী কী উপসর্গ দেখা যায়?
কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে শরীরে কী কী উপসর্গ দেখা দেবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপরে। যাদের বয়স বেশি এবং কো-মর্বিডিটি, দুর্বল ইমিউনিটি, স্থূলতা, ক্রনিক রেসপিরেটরি ইস্যু রয়েছে বা আগে থেকেই কোনও রোগে ভুগছেন, তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
ব্ল্যাক, হোয়াইট না ইয়েলো, কোন ফাঙ্গাস সবচেয়ে বেশি মারাত্মক? জেনে নিন বিস্তারিত
গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। এক্ষেত্রে যে লক্ষণগুলি দেখা দেয় –
- অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করা
- বুকে ব্যথা হওয়া
- ত্বকে জ্বালা, ব়্যাশ
- শ্বাসকষ্ট হওয়া
- দীর্ঘস্থায়ী অন্ত্রের প্রদাহ, হজমের সমস্যা
- বিভ্রান্তি
- খিচুনি বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
- রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি
উপরিউক্ত Covid উপসর্গগুলি, গুরুতর সংক্রমণের সূচনা হতে পারে এবং এই উপসর্গগুলি সময়ের সাথে সাথে আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অ্যাপোলো হাসপাতাল শুরু করবে Sputnik V -র টিকাকরণ
কোন দিনগুলির দিকে বেশি নজর দিতে হবে?
একজন করোনা রোগীর প্রায় ১৪ দিন সময় লাগে, সুস্থ হয়ে উঠতে। যাকে ইনকিউবেশন পিরিয়ড বলা হয়। বলা হচ্ছে যে, কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১,৩,৫,৭ এবং ১০ম দিনে লক্ষণগুলির তীব্রতার দিকে বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন।
যদি পঞ্চম দিনের মধ্যে উপসর্গগুলির কোনও উন্নতি না হয়, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে।
অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করতে চেয়ে এবার Mamata-কে চিঠি Adhir-এর
হালকা Covid উপসর্গ থেকে গুরুতর উপসর্গে পরিণত হলে কী করা উচিত?
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, হালকা সংক্রমণ গুরুতর সংক্রমণে পরিণত হচ্ছে। সংক্রমণের পঞ্চম দিনের মধ্যে যদি কোনও উন্নতি না হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং এই লক্ষণগুলি নজরে আসলে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করুন –
- ঠোঁট এবং ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।
- ৯০-এর নীচে অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে আসা
- হাই ফিভার
- নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ।
- হাইপক্সিয়া
- হার্ট রেট ওঠানামা করা
- খিদে না হওয়া