আজকাল, আমরা কমবেশি সকলেই ফাস্ট ফুডের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি। অফিসের দুপুরের খাবার হোক বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা। ক্যাফে হোক বা রাস্তার পাশের দোকান, পরোটা, চাউমিন হোক বা বিভিন্ন স্বাদের রোল। ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে অনেকেই এই ইউরিক অ্যাসিডের(Uric Acid) মাত্রা উপেক্ষা করেন। ফলে পায়ের তলায়, হাঁটুতে, কনুইতে ব্যথা শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে পাও ফুলে যায়। আর এখান থেকেই আর্থ্রাইটিস শুরু হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, যদি শুরুতেই ইউরিক অ্যাসিড বন্ধ করা যায়, তাহলে প্রথমে সমস্যাটি দমন করা যেতে পারে। অন্যথায় সমস্যা আরও বাড়বে। যদিও শুরুতেই ব্যথা শুরু হয়, কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড আপনার কিডনি এবং হার্টের জন্য মোটেও ভালো নয়।
আরও পড়ুন : পিত্ত থলিতে পাথর কেন হয়? আগে থেকে কি এটি বোঝা যায়? কিভাবে বুঝবেন
ইউরিক অ্যাসিড(Uric Acid) ধরা পড়লে সাধারণত অনেক কিছু খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। পালং শাক, টমেটো, ডাল, মুরগির মাংস, মাছের তেল, কফি, কেক, এগুলো একেবারেই খাওয়া যাবে না। তবে, তিনটি ফল আছে, যা নিয়মিত খেলে জাদুর মতো কাজ করবে। ইউরিক অ্যাসিড দ্রুত কমে যাবে।
চেরি – চেরিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীরের ব্যথা এবং অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়। শুধু তাই নয়, এই ফলটি ইউরিক অ্যাসিড(Uric Acid) কমাতেও অনেক সাহায্য করে।
লেবু – ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিডের(Uric Acid) একটি বড় শত্রু। শরীরে ভিটামিন সি এর মাত্রা বেড়ে গেলে ইউরিক অ্যাসিড ম্যাজিকের মতো কমে যায়। তাই নিয়মিত কমলা লেবু এবং মৌসুমি লেবু ফল খান। দেখবেন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে যাবে।
আরও পড়ুন : ফুসফুস ক্যান্সারের ৬টি প্রাথমিক লক্ষণ যা আমরা সহজেই উপেক্ষা করি, জানুন
আপেল – শুধু ভিটামিন সি নয়। ভিটামিন এ ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও খুব ভালো কাজ করে। আর এমন পরিস্থিতিতে আপেল হল আদর্শ ফল। আপেলে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে শুধু ডাক্তার দূরে থাকবে না। অ্যাসিডও দূরে থাকবে।