ওয়েব ডেস্ক: একুশের ভোটে বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। সেই জোট এখনও ভাঙেনি। তবে দিল্লিতে কংগ্রেস-তৃণমূল দোস্তি বাড়লেও রাজ্যে তার খুব একটা প্রভাব পড়বে না বলেই জানালেন CPIM এর রাজ্য সভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তার কথাই ‘জোটে সাময়িক প্রভাব পড়লেও বেশি দূর যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসিরা জানেন তাঁদের দলটাই গিলে খেয়েছে তৃণমূল। আঁতাত করলে কংগ্রেসের সাইনবোর্ড থাকবে না। এই বোধবুদ্ধি রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের কাছে। দিল্লিতে যারা দোস্তি করছেন তাঁরা ভুল করছেন।’
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনও পেগাসাস স্পাইওয়্যারের নিশানায় ছিল। রবিবার কংগ্রেসের (Congress) টুইটার হ্যান্ডেল থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ছবি দিয়ে আক্রমণ করা হয় মোদী সরকারকে। মমতার দিল্লি সফরের আগে এই টুইট নৈকট্যের বার্তা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এই প্রসঙ্গে বিকাশ বাবুর অভিমত, ‘তৃণমূলকে নিয়ে বেশি দূর এগোতে পারবেন না। পেগাসাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে বামপন্থীদের নেতৃত্বে করতে হবে। বামেদের সঙ্গে নিলেই ভারতের রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবে কংগ্রেস। পেগাসাসে যেমন অভিষেকের নাম রয়েছে তেমনই মোদীর মন্ত্রীসভার কয়েকজনের নামও আছে। তাহলে কি তাঁদের সঙ্গে নেওয়া হবে? সেভাবেই তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করা যাবে না।’
BJP বিরোধী সকলের সঙ্গেই বামেরা কাজ করতে প্রস্তুত, স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন বিমান বসু
এরই পাশাপাশি রাজ্যে জোটের প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, জোট ভাঙার সিদ্ধান্ত CPIM নেবে না বলে ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। একই সূর শোনা গেল CPIM এর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ীর গলাই। তার বক্তব্য, আমরা এখনও জোট চাই। জোটে আছি। কংগ্রেসের কোনও নেতা তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কথা আমাদের জানায়নি। সুতরাং এনিয়ে মন্তব্য করব না।’
১৯৯১ সালের থেকেও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছে ভারত, আশঙ্কা মনমোহনের
তেমনি জোটে নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তবে সম্ভাবনা উড়িয়েও দেননি। তার কথাই, রাজনীতির চেহারা কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে, আগে থেকে কেউ হলফ করে বলতে পারে না। নতুন সমীকরণ কি হতে চলেছে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।